প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে স্কুলে বিক্ষোভ হয়েছিল শুক্রবার। শনিবার ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ হল থানায়। পুলিশ অবশ্য শুক্রবারেই গলসির সাটিনন্দী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মানবকুমার যশকে গ্রেফতার করেছে। এ দিন বর্ধমান আদালত তাঁকে দু’দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগে শুক্রবার ঘণ্টাখানেক মানববাবুকে স্কুলে তাঁর ঘরেই ঘেরাও করেন অভিভাবক-ছাত্রীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছেন। এমনকী, যৌন নিগ্রহও করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ, জেলা স্কুল পরিদর্শক, বিডিও ও স্কুল পরিচালন সমিতির কাছে অভিযোগ জানান ৪৫ জন অভিভাবক।
এ দিন থানায় দাঁড়িয়ে অভিভাবকদের অনেককে বলতে শোনা যায়, ‘‘প্রধান শিক্ষক এমন হলে, কোন ভরসায় মেয়েকে স্কুলেকে পাঠাব? অবিলম্বে ওঁকে বরখাস্ত করা হোক।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক খগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুলিশ সূত্রের দাবি, এর আগে রায়নার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করার সময়েও মানববাবুর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে।
মানববাবুর বাড়ি বর্ধমানে। তাঁর পরিবারের দাবি, স্কুলের কিছু শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনের ‘চক্র’ বানিয়েছেন। তাতে আপত্তি করাতেই পরিচালন সমিতি ও শিক্ষকদের একাংশ মিলে মানববাবুকে মিথ্যা ফাঁসিয়েছে। পরিচালন সমিতির সদস্য তথা শিক্ষক প্রতিনিধি মনীষী রাম যদিও ওই অভিযোগ মানতে চাননি।’