আশাকর্মীদের কর্মবিরতি
Anganwadi Workers Protest

কর্মবিরতি, পোলিয়ো টিকা প্রশিক্ষণ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের

পরিস্থিতিতে শিশুদের পোলিয়ো খাওয়ানো কর্মসূচি সঙ্কটের মুখে পড়েছে। কারণ, ব্লক স্তরে আশাকর্মীরাই এই কাজ করেন। শিবির করার পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোলিয়ো খাওয়ানোর কাজটি তাঁরাই করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ০৯:৩৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কর্মবিরতি পালন করছেন আশাকর্মীরা। আজ, রবিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে পোলিয়ো কর্মসূচির কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত জেলা স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের কর্তারা জানান, অবস্থা সামাল দিতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে তাঁদের দিয়ে পুরো প্রক্রিয়া সফল হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে জেলাবাসী।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) শেখ মহম্মদ ইউনুস বলেন, “সমস্যা যে হবেই তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। শিশুরা যেন পোলিয়ো খাওয়া থেকে বঞ্চিত না
হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি।”

একাধিক দাবিতে শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন আশাকর্মীরা। শনিবারও আশাকর্মীরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিএমওএইচদের পোলিয়ো কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সালানপুরের আশাকর্মী সংগঠনের নেত্রী চম্পা পাল বলেন, “আমরা পোলিয়ো কর্মসূচি বয়কট করেছি।”

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে শিশুদের পোলিয়ো খাওয়ানো কর্মসূচি সঙ্কটের মুখে পড়েছে। কারণ, ব্লক স্তরে আশাকর্মীরাই এই কাজ করেন। শিবির করার পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোলিয়ো খাওয়ানোর কাজটি তাঁরাই করেন। এ বার সেই কাজ তাঁরা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। শনিবারও ব্লকের বিএমওইচদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার আটটি ব্লকে কমবেশি পৌনে তিন লক্ষ শিশু পোলিয়ো সেবন করবে। সিএমওএইচ জানান, আশাকর্মীদের অভাব পূরণ করতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির কর্মীদের দিয়ে এই কর্মসূচি চালানো হবে। বিএমওএইচ উদ্যোগী হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির কর্মীদের পোলিয়ো খাওয়ানোর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন মতো স্বেচ্ছাসেবক নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (স্বাস্থ্য) মহম্মদ আরমান জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা শিবিরগুলিতে উপস্থিত থেকে পোলিয়ো খাওয়ানোর কাজটি যাতে করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে, যে সব শিশুরা কোনও কারণে শিবিরগুলিতে আসতে না পারে, সে ক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি সেই কাজ কতটা করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

যদিও আসানসোল পুরসভার দাবি, পুর-এলাকায় এই কর্মবিরতির কোনও প্রভাব পড়েনি। পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডে প্রায় সওয়া লক্ষ শিশুকে আজ আশাকর্মীরা পোলিয়ো খাওয়াবেন।

বেলাইন ওয়াগন

দুর্গাপুর: ডিএসপির ‘র-মেটিরিয়াল হ্যান্ডেলিং প্লান্টে’ (আরএমএইচপি) ওয়াগন বেলাইন হয়। শনিবার দুপুরের ঘটনা। ডিএসপি সূত্রে জানা যায়, ওয়াগন বেলাইন হয়ে ধাক্কা মারে উপর দিয়ে যাওয়া একটি বিশাল ধাতব কাঠামোর খুঁটিতে (কেব্‌ল পিলার)। খুঁটিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপরের কাঠামোটিও নিচু হয়ে যায়। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন