পরীক্ষার ১৫টি কেন্দ্রে বিশেষ সতর্কতা

আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক। জেলার বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে থাকবে ‘মোবাইল অ্যান্ড ডিভাইস ডিটেকশন’ যন্ত্র। যাতে মোবাইল তো বটেই টুকলি করার জন্য অন্য কোনও ডিভাইস ব্যবহার করা হলেও তা ধরা পড়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০২
Share:

কালনার স্কুলে। নিজস্ব চিত্র

মাধ্যমিকের শুরু থেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে তাই আগেভাগেই মোবাইল থেকে দু’হাত দূরে থাকতে চায়ছে শিক্ষা সংসদ।

Advertisement

আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক। জেলার বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে থাকবে ‘মোবাইল অ্যান্ড ডিভাইস ডিটেকশন’ যন্ত্র। যাতে মোবাইল তো বটেই টুকলি করার জন্য অন্য কোনও ডিভাইস ব্যবহার করা হলেও তা ধরা পড়ে যায়।

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে ৩৩টি মূল পরীক্ষাকেন্দ্র-সহ ৯৭টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে কাটোয়া মহকুমায় সাতটি স্কুল, কালনা মহকুমার তিনটে ও বর্ধমানের দুটি মহকুমার পাঁচটি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শ্রীধর প্রামাণিক বলেন, “শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিরা ওই সব স্কুলে থাকবেন। তাঁরাই ‘মোবাইল অ্যান্ড ডিভাইস ডিটেকশন’ করবেন।” ফলে মোবাইল, ব্লু-টুথ অথবা অন্যান্য বৈদ্যুতিন গ্যাজেট নিয়ে গেলে ধরা পড়ে যাবেন পরীক্ষার্থী, শিক্ষকেরা। এ বছর থেকে পরীক্ষার্থীরা স্কুলে ব্যাগও নিয়ে যেতে পারবেন না।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলার অন্যতম আহ্বায়ক রথীন মল্লিক বলেন, “মোবাইল পাওয়া গেলে সংসদ কড়া পদক্ষেপ করবে। এ কথা পরীক্ষার্থী, শিক্ষক উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’’ মাধ্যমিকের সময় সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র বাইরে বের করার অভিযোগে মেমারি থেকে দুই পরীক্ষার্থী-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর বর্ধমান সদর মহকুমার ২৩ হাজার ১৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ১৩,০৮২ জন। কালনায় ৯,৩৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৫,২০৫ জন। কাটোয়ায় ৬,৮৭৫ জনের মধ্যে ৩,৮১২ জন ছাত্রী। জেলা জুড়েই ছাত্রীর চেয়ে ছাত্রের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার কম এ বছর।

এর মধ্যেই সোমবার থেকে কৃষক সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সেই যানজটের রেশ যাতে পরীক্ষায় না পড়ে তা কড়া হাতে সামলাতে তৈরি জেলা পুলিশ। এ দিনই বর্ধমান শহরের ১৫টি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিশেষ অভিযান চালিয়েছে পুরসভাও। পুরসবার এগজিকিউটিভ অফিসার অমিতকুমার গুহ বলেন, “পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রে শুধুমাত্র পরীক্ষার্থী বা শিক্ষকেরা থাকেন না। বাইরে বহু অভিভাবক অপেক্ষায় থাকেন। তাঁদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে জন্যেই অভিযান চালানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন