প্রতীকী ছবি।
বিল না মেটানোয় রোগীকে না ছাড়ার অভিযোগ উঠল আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ করে মৃত রোগীর পরিবার। তাদের দাবি, বিল নিয়ে টানাপড়েনের জেরে রোগীকে কলকাতায় নিয়ে যেতে দেরি হওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে।
আসানসোলের কল্যাণপুর মোড় এলাকার বাসিন্দা বন্দনা গড়াই অভিযোগ করেন, ১৫ জানুয়ারি ভোরে তাঁর স্বামী শুভময় গড়াই (৪৪) অসুস্থ হয়ে আসানসোলের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সে দিনই তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পরে শুভময়বাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। ৪৮ ঘণ্টা পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ফের অস্ত্রপচার করতে হবে। তাতে বেঁকে বসেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁরা রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চান।
বন্দনাদেবীর অভিযোগ, তখনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, চিকিৎসার বিল বাবদ দু’লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা না দিলে রোগীকে ছাড়া হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা তড়িঘড়ি এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জোগাড় করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিই। ওঁরা বাকি টাকার জন্য মুচলেখা লিখিয়ে আমার স্বামীকে ছাড়েন।’’ তাঁর দাবি, বকেয়া বিলেন জন্য রোগীকে অযথা দেরি করে ছাড়া হয়। ১৭ জানুয়ারি বিকেলে শুভময়বাবুকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা। ৮ ফেব্রুয়ারি সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই বেসরকারি হাসপাতালের আধিকারিক তপন চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। বকেয়া বিলের জন্য আমরা রোগী আটকে রাখিনি। রোগীর পরিবার এক লক্ষ টাকা বিল মিটিয়েছেন। বকেয়া মেটানোর জন্য কোন মুচলেকাও আমরা নিইনি।’’ আসানসোলের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নেব। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সরকারের নির্দেশ মতো তদন্ত করে কমিশনে রিপোর্ট পাঠাব।’’