কয়েক মাস ধরেই কাটোয়া শহরে পরপর বহুতল নির্মাণের অভিযোগ উঠছে। এমনকী, পুরসভার নোটিসেও থামেনি কাজ। এ বার তেমনই একটি বন্ধ করে দেওয়া নির্মাণ শেষ করে তার একতলা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ককে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল। উদ্বোধন করতে দেখা গেল খোদ পুরপ্রধান অমর রামকে। যদিও অমরবাবুর দাবি, ‘‘ওনাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। রাতারাতি নির্মাণ তো আর বন্ধ করে দেওয়া যায় না।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত জুনে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সার্কাস ময়দান বিদ্যাসাগর মোড়ে এক কাঠারও কম জায়গায় বেআইনি ভাবে নির্মাণ চলছে। প্রাক্তন পুরপ্রধান ওই নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও বর্তমান বোর্ড আসার পরেই তড়িঘড়ি ওই নির্মাণ শেষ করা হয় বলেও তাঁদের অভিযোগ। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, অভিযোগ পাওয়ার বারো দিনের মধ্যে নকশা অনুমোদন ছাড়া, বেআইনি ভাবে তৈরি বাড়িটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিস দেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে পুরসভায় দেখা করার কথাও বলা হয়। অভিযোগ, নির্দেশ না মেনে মাস দুয়েকের মধ্যেই বাড়ির একতলা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ককে দিয়ে দেন মালিক শ্যামাপ্রসাদ ঠাকুর। সপ্তাহখানেক আগে যার উদ্বোধন করেন পুরপ্রধান। পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ওই বাড়ির নির্মাণ শুরুর সময় বিগত পুরবোর্ড নির্মাণ বন্ধের নোটিস পাঠায়। অক্টোবরে হিয়ারিং হওয়ার পরে বছরখানেক কাজ বন্ধও থাকে। কিন্তু ২০১৫ সালে নতুন পুরবোর্ড হওয়ার পরে ফের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যায় বলে দাবি স্থানীয় সাজিদ শেখ, চন্দন হরিজন, কানন হোসেনদের। এমনকী, পুরপ্রধানের মদতেই এমনটা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ওই বাড়ির নির্মাতা শ্যামাপ্রসাদ ঠাকুরের সাফাই, ‘‘অবৈধ নির্মাণ হলে দিনের বেলায় কাজ করাতে পারতাম না।’’ নির্মাণ অবৈধ প্রমাণ হলে পুরসভা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের।