পুলিশ নিয়ে জমি দখলে এসেও বাধা

আদালতের অনুমতি নিয়ে পৈত্রিক জমি দখল করতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল জমি মালিককে। শুক্রবার দুপুরে কাটোয়ার জাজিগ্রাম চড়কতলার ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুজো এবং মেলার জন্য ওই জমি মৌখিক ভাবে দান করেছিলেন বর্তমান মালিক সুবোধ দত্তের বাবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫২
Share:

আদালতের অনুমতি নিয়ে পৈত্রিক জমি দখল করতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল জমি মালিককে। শুক্রবার দুপুরে কাটোয়ার জাজিগ্রাম চড়কতলার ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুজো এবং মেলার জন্য ওই জমি মৌখিক ভাবে দান করেছিলেন বর্তমান মালিক সুবোধ দত্তের বাবা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন আদালতের নাজির ও কাটোয়া থানার পুলিশের সঙ্গে ওই ১৭শতক জমির দখল নিতে যান কারবালাতলার বাসিন্দা সুবোধবাবু। অভিযোগ, মাঠে মধ্যে গড়ে ওঠা স্থানীয় একটি ক্লাব ভাঙতে গেলে শ’তিনেক লোকজন এসে বাধা দেন। তাঁদের দাবি, দু’শো বছর ধরে ভূতনাথতলা হিসাবেই পরিচিত ওই মাঠে পুজো হয়। প্রতি বছর দুর্গাপুজো ও চড়কের মেলাও বসে। পুজোর কাজের সুবিধার জন্যই ন’নগর ও জাজিগ্রামের বাসিন্দারা মিলে ১২০ বর্গফুটের ওই ঘরও নির্মাণ করেন বলেও তাঁদের দাবি। পরে তা পরিণত হয় ক্লাবঘরে। স্থানীয় রথীন ঘোষ, সমীর মাঝি, বঙ্কিম ঘোষদের দাবি, ‘‘জন্ম থেকে এই জায়গা পুজোর জন্য ব্যবহার হতে দেখছি। এটা ওনার জায়গা হলে এতদিন দখল করতে এলেন না কেন!’’ সুবোধবাবুর বাবা জমিটি পুজোর জন্য দিয়েছিলেন বলেও তাঁদের দাবি।

তবে সুবোধবাবু জানান, তাঁর বাবা শঙ্করপ্রসাদ দত্ত ও কাকা হরগোবিন্দ দত্ত জয়গাটি পাওয়ার জন্য ১৯৯৬ সালে আদালতে মামলা করেন। ২০০৬ সালে ডিক্রি পাওয়ার পরে জায়গাটি সুরক্ষিত রাখতে পুলিশি নিরাপত্তা চান তিনি। অনুমতি পেলে আদালতে টাকা জমাও দেন। এরপরেই আদালতের অনুমতি নিয়ে জমি দখল করতে যান তিনি। যদিও এলাকাবাসীদের চাপে পিছু হঠতে হয়। আইনজীবীরা জানান, সম্পত্তি আইনানুযায়ী দান, বিক্রি বা ওয়ারিশ যে কোন ক্ষেত্রেই ১০০ টাকার বেশি মূল্যের যে কোন সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য রেজিস্ট্রি করাতে হয়। ২০ বছরের বেশি দিন বিনা বাধায় কেউ কোনও সম্পত্তি ব্যবহার করলে ‘ইজমেন রাইটে’ আবেদন করলে ওই সম্পত্তির দখল অর্থাৎ যাতায়াত করা বা ব্যবহার করার অধিকার পেলেও মালিকানা পাওয়া যায় না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন