—প্রতীকী চিত্র।
দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীর ধর্ষণ মামলায় ধৃতদের জামিন খারিজ করে দিল আদালত। বুধবার সকালে ধৃত ছ’জনের মধ্যে চার জনকে হাজির করানো হয়েছিল বিচারকের সামনে। মঙ্গলবার অন্য দুই অভিযুক্তকে হাজির করানো হয়। তাঁদের পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। মঙ্গলবার বাকি চার জনের আর্জি খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর ধৃতদের টিআই প্যারেড করানো হবে। তার পর ২৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। অন্য দিকে, বুধবার ‘নির্যাতিতা’ এবং তাঁর সহপাঠীর হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট দেখা হচ্ছে আদালত। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘এই মামলায় আর কোনও ধোঁয়াশা নেই। যাঁরা সত্যিই জড়িত তাঁরা শাস্তি পাবেনই।’’ তিনি জানান, মঙ্গলবার দু’জনের বক্তব্য শুনেছে আদালত। বুধবার বাকি চার জনের আবেদন শোনা হয়। তবে সরকারের তরফে তাঁদের জামিনের আর্জির বিরোধিতা করা হয়েছে। ‘নির্যাতিতা’ ধৃত সহপাঠী দাবি করেন, তিনি এই অপরাধের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নন। কিন্তু আমরা বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছি আদালতকে। আশা করছি, শীঘ্রই এই মামলার ফয়সালা হবে।’’
উল্লেখ্য, ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় ধৃত ছ’জনের মধ্যে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ধারা যোগ করেছে পুলিশ। দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ওই ছাত্রীকে গত ১০ অক্টোবর ক্যাম্পাসের বাইরে নির্যাতনের অভিযোগে এক সহপাঠী ছাত্র ও লাগোয়া গ্রামের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে ধৃত ছ’জনের বিরুদ্ধেই গণধর্ষণ, একই উদ্দেশ্যে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে অপরাধ ঘটানো, ছিনতাই এবং ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ, সম্পত্তি বা সুবিধা আদায়ের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের মধ্যে দুই ধৃতের বিরুদ্ধে ওই সব ধারা ছাড়াও তোলাবাজি, অন্যায় ভাবে আটকে রাখা এবং মহিলার শালীনতা লঙ্ঘনের ধারা যোগ করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রথমে ধর্ষণ, তার পরে গণধর্ষণ ও শেষে, টাকা আদায়ের চেষ্টা, এই তিন ভাগে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। সেই অনুযায়ী মামলা সাজানো হয়েছে।