ডিএসপি মেনগেটে আইএনটিটিইউসি-র সভা। নিজস্ব চিত্র
৩১ অগস্ট সংগঠনের জেলা সভাপতির ডাকা সভায় আসেননি প্রাক্তন জেলা সভাপতি। সোমবার প্রাক্তন সভাপতির ডাকা সভায় আবার গরহাজির রইলেন বর্তমান সভাপতি। আইএনটিটিইউসি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেল দুর্গাপুরে।
এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্লিকরণের সিদ্ধান্ত-সহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতায় ৩১ অগস্ট ডিএসপি-র সামনে সভা ডাকেন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পারিয়াল। মঙ্গলবার সেখানেই সংগঠনের আর একটি সভা হয়। সংগঠনের একাংশের দাবি, এই সভার ডাক দেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনের জেলা চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি ভি শিবদাসন দু’টি সভাকেই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
শহরের বাইরে থাকায় ৩১ অগস্টের সভায় তিনি থাকতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন প্রভাতবাবু। সোমবার তাঁর ডাকা সভায় আসেননি বিশ্বনাথবাবুও। তবে তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল, মেয়র পারিষদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পবিত্র চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই-সহ দলের অনেক নেতাই হাজির ছিলেন। যদিও বিশ্বনাথবাবুর অনুগামীদের দেখা যায়নি। প্রভাতবাবু বলেন, ‘‘পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ডিএসপি-র ঠিকা শ্রমিকদের দশ দফা দাবি নিয়ে এই সভা ডাকা হয়েছিল।’’
২০১১ থেকে ২০১৬-র মাঝামাঝি পর্যন্ত আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি ছিলেন প্রভাতবাবু। এই সময়ে ডিএসপি-সহ বিভিন্ন কারখানায় ঠিকাশ্রমিক নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে সংগঠনের দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৬ সালে এলাকার দু’টি বিধানসভা আসনই তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার পরে আইএনটিটিইউসি-র সব কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে বিশ্বনাথবাবু দায়িত্ব নিয়েছেন। তার পরে ফের দলের অন্দরে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে বলে সদস্য-সমর্থকদের একাংশের দাবি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসপি-র কয়েকজন ঠিকা শ্রমিক বলেন, ‘‘সে দিন জেলা সভাপতির ডাকা সভায় গিয়েছিলাম। সোমবারের সভাতেও যেতে হল। কাউকে চটানো যাবে না। কাজ তো টিকিয়ে রাখতে হবে!’’
এ দিন বিশ্বনাথবাবুকে বারবার ফোন করা হলে তিনি রাত পর্যন্ত বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানানো হয়।