ঘোষণাই সার, জামুড়িয়ায় ‘মডেল স্টেশন’ অন্ধকারে

সন্ধ্যা নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। ট্রেনের সময়সূচি, শৌচাগার-সহ ন্যূনতম পরিকাঠামোও নেই প্রস্তাবিত মডেল স্টেশনে। বাসিন্দারা জানান, ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে সাবেক রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জামুড়িয়াকে মডেল স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:২১
Share:

সন্ধ্যা নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। ট্রেনের সময়সূচি, শৌচাগার-সহ ন্যূনতম পরিকাঠামোও নেই প্রস্তাবিত মডেল স্টেশনে। বাসিন্দারা জানান, ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে সাবেক রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জামুড়িয়াকে মডেল স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করেন। কিন্তু সেই ঘোষণার ছ’বছর বাদেও হাল ফেরেনি স্টেশনের।

Advertisement

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৬ সালে আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে এই স্টেশনে দাঁড়ানো অন্ডাল-বৈদ্যনাথধাম লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় ১৫ বছর তা বন্ধ থাকার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ওই লাইনে অন্ডাল-যশিডি ট্রেন চালু করেন। সেই সঙ্গে জামুড়িয়াকেও ‘মডেল স্টেশন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এই স্টেশনে সকাল সাড়ে ৭টা ও বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে অন্ডাল-যশিডি ট্রেনটি দাঁড়ায়। এ ছাড়া দিনভর বিভিন্ন কোলিয়ারি থেকে কয়লাবোঝাই মালগাড়িও থামে স্টেশনে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘মডেল স্টেশন’ ঘোষণার পরে সংরক্ষিত টিকিট কেন্দ্র তৈরির জন্য একটি ঘর ঠিক করা ছাড়া আর কোনও কাজই হয়নি। অভিযোগ, ট্রেনের সিঁড়ি থেকে প্ল্যাটফর্ম রয়েছে বেশ খানিকটা নীচে। এ ছাড়া পানীয় জলের বন্দোবস্ত, শৌচাগার, যাত্রী প্রতীক্ষালয়— কিছুই নেই এই স্টেশনে। বালানপুরের রূপালী সিংহ, লাইকাপুরের শিবানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়দের অভিযোগ, উপযুক্ত ছাউনি না থাকায় বর্ষা বা গরমে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা দায় হয়ে পড়ে। স্টেশনের অদূরেই জঙ্গল থাকায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সন্ধ্যার ট্রেনও দেরিতে আসছে বলে অভিযোগ। স্টেশনে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় বর্যায় সাপের ভয় রয়েছে। এ ছাড়া ট্রেনের সময়সূচি লেখা কোনও বোর্ড নেই স্টেশনে। এমনকী, ট্রেন আসার ১০ মিনিট আগে এক জন টিকিট বিক্রেতা থলিতে করে টিকিট নিয়ে আসেন। টিকিট ফেরত নেওয়ার বা শিশুদের টিকিট কাটার কোনও ব্যবস্থা নেই।

Advertisement

ব্যবসায়ীদের তরফে অজয় খেতান জানান, আসানসোল ডিভিশনে স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং ধানবাদ থেকে কলতাকাগামী কোনও একটি ট্রেনকে ভায়া জামুড়িয়া চলাচলের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সিপিএম নেতা মনোজ দত্ত বলেন, ‘‘বিন্দুমাত্র সমস্যা মেটেনি। তবে সংশ্লিষ্ট দফতরে দাবিপত্র পাঠিয়েছি।”

আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বনাথ মুর্মু বলেন, ‘‘এই স্টেশনটি নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। ঠিক সময়েই পরিকাঠামোর উন্নতি করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন