দেড়শোয় পা দিল কালনার স্কুল

স্কুলের দেড়শো বছরের অনুষ্ঠানে কালনা ঘুরে গেলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। দেখে গেলেন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাচীন নিদর্শনগুলিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০০:০০
Share:

স্কুলের দেড়শো বছরের অনুষ্ঠানে কালনা ঘুরে গেলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। দেখে গেলেন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাচীন নিদর্শনগুলিও।

Advertisement

সোমবার কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে রাজ্যপাল জানান, অম্বিকা কালনার আলাদা একটা গুরুত্ব রয়েছে। রাজ্যের মধ্যে টেরাকোটার কাজ করা ২৫ চূড়ার মন্দির একমাত্র কালনাতেই রয়েছে। দেড়শো ছোঁয়া স্কুলটির প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘একটা স্কুল দেড়শো বছরে তখনই পৌঁছয় যখন সেখানে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী-সহ বহু মানুষের অবদান থাকে।’’

১৮৬৮ সালে কালনা ও আশপাশের এলাকায় স্কুল গড়তে উদ্যোগী হয়েছিল সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন তৎকালীন বর্ধমান মহারাজা মহাতাবচাঁদ বাহাদুরও। সেই সময়েই গোড়াপত্তন এই স্কুলের। প্রধান শিক্ষক শ্রীমন্ত ঘোষ জানান, বরাবর ভাল ফল করে ছাত্ররা। ভলিবল, ফুটবল, অ্যাথলেটিক্সেও সাফল্য পেয়েছে স্কুল। রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়, স্কাউট, এনসিসি রয়েছে স্কুলে। শ্রীমন্তবাবুর দাবি, পড়াশোনায় উৎসাহ দিতে ও পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে ৯০ শতাংশ পাওয়া ছাত্রদের ভর্তির জন্য টাকা নেওয়া হয় না। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের ভাল উপস্থিতি থাকলে দেওয়া হয় আর্থিক অনুদান। স্কুলে ছিলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল, জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু। স্কুলের তরফে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গড়তে এবং নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টার তৈরির কাজ করতে চাইলে সাংসদ তহবিল থেকে স্কুলকে সাহায্য করার কথা বলেন তিনি। স্কুলে হাজির ছিলেন ১৯৪২, ১৯৪৭ এবং ১৯৪৯ সালে মেট্রিকুলেশান পাশ করা অজিত মুখোপাধ্যায়, শিবনারায়ণ দে বিশ্বাস এবং নিমাইচন্দ্র শীল। স্কুলের উন্নয়নের সঙ্গে কালনা, কাটোয়ার পুরাত্বাত্ত্বিক নির্দশন রক্ষার জন্যও রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানান সাংসদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement