কঙ্কালী কালী। নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগরে কঙ্কালেশ্বরী কালীর কথা অনেকেই শুনেছেন। বর্ধমান শহরের এই এলাকায় গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র। কালী পুজোর সময় এখানে ভক্ত তথা পর্যটকের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বর্ধমান পুর প্রশাসন এখন কঙ্কালেশ্বরী কালী ও তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা পর্যটনকেন্দ্রকে নতুন করে সাজিয়ে তুলছে।
কাঞ্চননগরে কালীর যে রূপ দেখা যায়, তেমনটা সচরাচর অন্য কোথাও দেখা যায় না। এখানে কালী যেন একেবারে কঙ্কালসার চেহারায়। শরীরের শিরা ধমনী অস্থি স্পষ্ট এই কালী মূর্তির। কষ্ঠিপাথরে খোদিত কালীমূর্তির এই রূপের জন্যই এর নাম 'কঙ্কালেশ্বরী কালী'।
১৯২৩ সালে দামোদরের জলে বর্ধমানের এই এলাকা ভেসে গিয়েছিল। বন্যার জল নামতে দামোদরের গর্ভ থেকে উদ্ধার হয় কষ্ঠিপাথরের এই দেবীমূর্তি। তার পর তা প্রতিষ্ঠা করা হয় বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগরের পঞ্চরত্ন বিষ্ণুমন্দিরে। সেই থেকে এখানে কঙ্কালেশ্বরী কালীর আরাধনা হয়ে আসছে।
শোনা যায়, শ্রীচৈতন্যের দাক্ষিণাত্য ভ্রমণের সঙ্গী ছিলেন গোবিন্দ দাস। তাঁর জন্মভিটে রয়েছে এই কাঞ্চননগরে। সেই জন্মভিটের অদূরেই রয়েছে পঞ্চরত্ন বিষ্ণুমন্দির। সেখানেই অধিষ্ঠিত হয়েছেন কঙ্কালেশ্বরী কালী। সংস্কার হওয়ার পরে মন্দিরের টেরাকোটার কারুকার্যও দেখার মতো।
কঙ্কালী কালী মন্দীর। নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগরে এখন কঙ্কালেশ্বরী কালীর পূজার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রতি বছর ধুমধাম করে দেবীর আরাধনা হয়ে থাকে। এবারও তার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। বর্ধমান পুরসভা ও বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার তরফে কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকাকে সাজিয়ে তোলা হয়ছে। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় গড়া হয়েছে বিনোদন পার্ক। বসানো হয়েছে পথবাতি। রাস্তাঘাটের সংস্কার হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণী ব্যাটালিয়ন নিয়ে কোচবিহারে রাজনৈতিক তরজা শুরু
আরও পড়ুন: আলাদা ব্যাটালিয়ন হবে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি জঙ্গলমহল
মন্দিরকে ঘিরে একটি পর্যটনকেন্দ্রও গড়ে উঠেছে কাঞ্চননগরে। গোবিন্দ দাসের ভিটে, বারদুয়ারি, কঙ্কালেশ্বরী মন্দির ও রথতলাকে নিয়ে এক দিনের ভ্রমণের চমৎকার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই এলাকা।