Katwa

রাত বাড়তেই কিছুটা ভিড় ‘কার্তিক লড়াই’-এর শহরে 

রাত ৮টার পরে, রাস্তাঘাটে বেরিয়ে পড়েন শহরের অনেক বাসিন্দাই। শোভাযাত্রা না থাকলেও ভিড় করে রাস্তায় ঘুরতে বা মণ্ডপে যেতে দেখা যায় অনেকজনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৪৭
Share:

শোভাযাত্রা নেই, তবু রাতে ভিড় কাটোয়া শহরের রাস্তায়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

করোনা সংক্রমণ রুখতে আগেই পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় কার্তিক লড়াইয়ের শোভাযাত্রায় লাগাম টেনেছে প্রশাসন। তার পরেও রাস্তায় ভিড় বা জমায়েত পুরোপুরি আটকানো যাবে কি না, সে চিন্তা ছিল। মঙ্গলবার অবশ্য পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণেই। বাজনার দল নিয়ে বেরনোয় নিষেধ থাকায় বেশির ভাগ পুজো কমিটিকে রেকর্ড বাজাতে দেখা যায়। তবে কয়েকটি পুজো মণ্ডপের সামনে দেখা যায় বাজনাদারদের। রাত বাড়তে অবশ্য অনেকেই নেমে পড়েন রাস্তায়। মাস্কও ছিল না অনেকের।

Advertisement

অন্য বার কাটোয়া শহরের লেনিন সরণি থেকে শুরু করে পুরসভা মোড়, সংহতি মঞ্চের মোড়, টেলিফোন ময়দান, মাধবীতলা এলাকায় দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। আগে থেকে শোভাযাত্রার রুট নির্দিষ্ট করে দেয় প্রশাসন। এ বার বিকেল থেকে ফাঁকাই ছিল ওই সব রাস্তা। বাইরে থেকে কোনও দর্শককে শহরে ঢুকতে দেখা যায়নি। তবে রাত ৮টার পরে, রাস্তাঘাটে বেরিয়ে পড়েন শহরের অনেক বাসিন্দাই। শোভাযাত্রা না থাকলেও ভিড় করে রাস্তায় ঘুরতে বা মণ্ডপে যেতে দেখা যায় অনেকজনকে। যদিও পুলিশের দাবি, পুরোটাই স্বাস্থ্য-বিধি মেনে হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে অনুমোদন পাওয়া পুজো রয়েছে ৮৯টি। তবে এর বাইরেও বেশ কিছু পুজো হয়। প্রতিবার কার্তিকের ‘থাকা’, নানা দেবদেবীর মূর্তি-সহ বাজনা, আলো নিয়ে সন্ধ্যা থেকেই শোভাযাত্রায় যোগ দেয় পুজো কমিটিগুলি। ভিড় সামলাতে শহরের রাস্তায় থাকে কয়েকশো পুলিশ। এ বার অবশ্য সংক্রমণ রুখতে সমস্ত জমায়েত নিষিদ্ধ ছিল।

Advertisement

মাধবীতলার বাসিন্দা টিঙ্কু চট্টরাজ বলেন, ‘‘কার্তিক লড়াই একটা আবেগ। শোভাযাত্রা যে বন্ধ থাকতে পারে, আমরা ভাবতেও পারিনি।’’ কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।’’ মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, ‘‘রাস্তায় কোথাও যাতে ভিড় না হয়, সে জন্য পুলিশ-প্রশাসন সক্রিয় ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন