কাজ চলছে হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।
অবৈধ নির্মাণে দাঁড়ি পড়েছে আগেই। শুরু হয়েছে সংস্কারের পালা।
স্বাস্থ্য দফতর মর্গ ও ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ করেছিল। দু’টি বড় কাজই প্রায় শেষের পথে। উদ্বৃত্ত অর্থে হাসপাতালের বিভিন্ন ভবনের ছাদ সংস্কার থেকে শুরু করে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। খোলনলচে বদলানো হচ্ছে বৈদ্যুতিন পরিষেবার।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃতদেহ সুষ্ঠু ভাবে রাখতে অত্যাধুনিক মর্গ তৈরির জন্যে সম্প্রতি ৪৩ লক্ষ টাকা অনুমোদন করে স্বাস্থ্য দফতর। সিসিইউ তথা (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) এইচডিইউ তৈরির জন্য বরাদ্দ হয় ৫৫ লক্ষ টাকা। নিয়ম মেনে কাজ করেও দু’টি খাত থেকে বেঁচে গিয়েছে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা। সেই টাকাতেও শুরু হয়েছে কর্মযজ্ঞ। মর্গের সামনের এবড়ো খেবড়ো রাস্তার ঢালাই, প্যাথোলজি বিভাগ, মিটার রুমের ছাদ সংস্কার, অপারেশন থিয়েটারের মিটার রুম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চলছেও দ্রুতগতিতে। আপদকালীন বিভাগের উল্টো দিকে সাংসদ তহবিলের টাকায় তৈরি বিশ্রামাগারের চারদিক সংস্কার ও আপদকালীন বিভাগের মূল ছাদের সংস্কারও হাত দেওয়া হয়েছে। শুধু হয়েছে ভবন রং করার কাজও।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের ‘কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স প্রোগ্রাম’কে সফল করতে হাসপাতালে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করেছেন মহকুমাশাসক। পরিচ্ছন্নতার কথা মাথায় রেখে ভেঙে দেওয়া হয়েছে শুয়োরের খামারও। হাসপাতালের মূল দরজা ও পিছনের দরজার সামনে অস্থায়ী দোকানদারদের উঠে যেতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে স্বাস্থ্য সম্মান পেয়েছে হাসপাতাল। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসবেন। সে জন্যই তড়িঘড়ি পরিষেবা সংক্রান্ত কাজগুলো শেষ করা হবে। সুপার রতন শাসমলের কথায়, ‘‘রোগীদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’
পূর্ত দফতর জানায়, আপদকালীন বিভাগের দক্ষিণ দিকে কাঠাখানেক জায়গায় তিরিশটি মৃতদেহ রাখার উপযোগী মর্গ তৈরি হয়েছে। সিসিইউ তৈরির কাজও শেষের পথে। এই বিভাগ তৈরির ফলে হৃদরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবে কাটোয়া, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু দাশগুপ্ত জানান, এই খাতে উদ্বৃত্ত ১২ লক্ষ টাকা থেকে হাসপাতালের দুই দরজার ধার দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে গাছ লাগানো হবে। এ ছাড়াও সিসিইউ বিভাগের ছাদ সংস্কার, রান্নাঘর থেকে বর্হিবিভাগ লাগোয়া রাস্তা ঢালাই, বর্হিবিভাগের সামনে টিকিট কাউন্টার তৈরির কাজ চলছে।
বৈদ্যুতিন পরিষেবাতেও বদল আনা হচ্ছে। ইলেকট্রিক প্যানেল সংস্কারের পাশাপাশি নতুন ২০০টি পাখা চালু করা হয়েছে। পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ সরকার (বৈদ্যুতিন) জানান, অ্যালার্ম পদ্ধতির একটি ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম বসানো হচ্ছে।