খাল, বিল উৎসব ঘিরে ইকো-ট্যুরিজমের ভাবনা

দূষণের মতো নানা কারণে রাজ্য জুড়ে চুনো মাছের জোগান কমছে। চাঁদা, খোলসের মত বেশ কিছু মাছ দেখাই যায় না বাজারে। সেই সব হারানো মাছের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে পূর্বস্থলীর বাঁশদহ বিলে প্রচুর পরিমাণে চুনো মাছ চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৪৩
Share:

বাঁশদহ বিলে শুরু হল খাল, বিল উৎসব। নিজস্ব চিত্র

দূষণের মতো নানা কারণে রাজ্য জুড়ে চুনো মাছের জোগান কমছে। চাঁদা, খোলসের মত বেশ কিছু মাছ দেখাই যায় না বাজারে। সেই সব হারানো মাছের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে পূর্বস্থলীর বাঁশদহ বিলে প্রচুর পরিমাণে চুনো মাছ চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হল। মঙ্গলবার এই বিলের পাড়ে ‘খাল, বিল, চুনো মাছ উৎসবে’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, চুনো মাছের চাহিদা প্রচুর। ৩০ হাজার বিভিন্ন জাতের চুনো মাছ ও চারাপোনা ছাড়া হবে এই বিলে। এ দিন মন্ত্রী বেশ কিছু মাছ ছাড়েনও।

Advertisement

আর্সেনিক অধ্যুষিত পূর্বস্থলী ১ ব্লকে ১৮ বছর আগে ‘খাল বিল বাঁচাও আন্দোলন’ শুরু করেছিলেন বর্তমান প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। গ্রামে গ্রামে পদযাত্রা করে জলাভূমি বাঁচানোর আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে এর সঙ্গেই জুড়ে যায় চুনো মাছ বাঁচানোর দাবি। প্রতি বছরই ব়়ড়দিনে শুরু হয় এই উৎসব।

এ বছর উৎসবের আগে বিলের তলার পলি তুলে গভীরতা বাড়ানো হয়। এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাওয়ার জন্য গড়া হয় একাধিক সেতু। বিলের দু’ধারে রাস্তা, পর্যটকদের কথা ভেবে গেস্টহাউসও তৈরি হয়। প্রতি বারের মতো বিলের মধ্যে নৌকায় গড়া হয় ভাসমান মঞ্চও। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মঞ্চ থেকে ভেসে আসা বাউল, পল্লিগীতি, ভাটিয়ালির সুরে তৈরি হয়ে যায় উৎসবের আমেজ।

Advertisement

এ দিন পযর্টকদের জন্য বিলের এক পাশে গরম গরম পাটিসাপটা, ভাপা পিঠে তৈরি করতে দেখা যায়। উৎসব কমিটির তরফে তরফে অতিথিদের বরণ করা হয় বিল থেকে তোলা শাপলা ফুল এবং আশপাশের এলাকা থেকে আনা খেজুর গুড়ের হাঁড়ি দিয়ে। ছিল ভুরিভোজের ব্যবস্থাও। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, ফুলকপির তরকারি, মুড়িঘন্ট, বিল থেকে ধরা কাতলা, মৌরলা, কই, কাঁকড়ার ঝাল এবং পায়েস।

স্বপনবাবু বলেন, ‘‘বাঁশদহ বিল ইকো ট্যুরিজম গড়ার ভাবনা বহু বছরের। ইদানিং বেশ কিছু পরিযায়ী পাখিরও আনাগোনা শুরু হয়েছে। বিলের দু’পাড়ে লোহার রেলিং দিয়ে গাছ লাগানোর বন্দোবস্তো করা হয়েছে।’’ মৎস্য দফতরকেও বিলের পাড়ে একটি গেস্টহাউস করার জন্য জানান তিনি। মৎস্যমন্ত্রী জানান, দ্রুত পরিকল্পনা পাঠালে এ মাসের মধ্যেই টাকা বরাদ্দ করে দেওয়া হবে। উৎসব কমিটি জানিয়েছে, বুধবার নৌকা, বাইচ প্রতিযোগিতা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন