ছাঁটাই নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ ডিএসপি-তে

কর্মদক্ষতার মাপকাঠিতে কর্মী-আধিকারিকদের ছাঁটাই করার নীতির বিরুদ্ধে স্টিল অথারিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল)-এর কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। শনিবার দিল্লিতে সব ক’টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন মিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান আইএনটিইউসি অনুমোদিত ‘হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা,

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৬ ০১:০৯
Share:

কর্মদক্ষতার মাপকাঠিতে কর্মী-আধিকারিকদের ছাঁটাই করার নীতির বিরুদ্ধে স্টিল অথারিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল)-এর কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। শনিবার দিল্লিতে সব ক’টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন মিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান আইএনটিইউসি অনুমোদিত ‘হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। এ দিন সকালেই ডিএসপি-র সামনে সিটু এবং আইএনটিইউসি-র পক্ষ থেকে প্রতীকি বিক্ষোভ দেখানো হয়।

Advertisement

সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে ‘কন্ডাক্ট, ডিসিপ্লিন অ্যান্ড অ্যাপিল রুলস ১৯৭৭’ (সিডিএ-১৯৭৭)-এর আওতায় যাঁরা রয়েছেন, নির্দিষ্ট বয়সের পরে তাঁদের ক্ষেত্রে দক্ষতা যাচাই করে তার পরে তাঁদের কাজে বহাল রাখা হবে। সংস্থায় ৩৫ বছর বয়সের আগে যোগ দিয়েছেন এমন আধিকারিক বা কর্মী ৫০ বছর বয়সে পৌঁছলেই দক্ষতা যাচাইয়ের মুখে পড়তে হবে। বাকিদের জন্য অবশ্য এই বয়সসীমা ৫৫ বছর। নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছনোর ছ’মাস আগে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সংশ্লিষ্ট কর্মী বা আধিকারিক দক্ষ না অদক্ষ। তার পরেই সংশ্লিষ্ট কর্মী বা আধিকারিককে চাকরিতে আর বহাল রাখা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যদি চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয় তবে তিন মাস আগে সংশ্লিষ্ট কর্মী বা আধিকারিককে বিজ্ঞপ্তি ও তিন মাসের বেতন, ভাতা দিয়ে দেওয়া হবে। সমস্ত আধিকারিক এবং কর্মীদের একাংশ রয়েছেন সিডিএ ১৯৭৭-এর আওতায়। এর বাইরে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম লাগু হবে না।

ডিএসপি-র শ্রমিক সংগঠনগুলি সেলের নতুন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ইতিমধ্যেই। এমনকী, কথা বলা হয়েছে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও। যদিও ওই অ্যাসোসিয়েশন স্থানীয় স্তরে শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে যৌথ আন্দোলনের বিষয়ে এখনই কিছু জানায়নি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছে তারা। তবে সেলের এমন নিয়মের নিন্দা করেছেন তাঁরা।

Advertisement

সিটুর জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি একযোগে আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়েছে।’’ স্থানীয় স্তরেও ধারাবাহিক আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি। এ দিন সকালে ডিএসপি-র গেটে ও বিভিন্ন বিভাগে সিটু এবং আইএনটিইউসি-র তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়। আইএনটিইউসি অনুমোদিত ‘হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর ডিএসপি-র সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎবাবু জানান, দিল্লিতে সমস্ত সংগঠন মিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিয়ম বাতিলের জন্য সেল বোর্ডের কাছে আবেদন রাখা হবে। কারখানার সিটু নেতা সৌরভ দত্ত বলেন, ‘‘কর্মী সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে সেল। তা মানা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন