কর্মীর অভাব, স্কুল সাফ করতে নাকাল

কলকাতায় ডেঙ্গিতে স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে জেলার নানা এলাকায় স্কুলগুলিকে সতর্ক করেছে প্রশাসন। মশার উপদ্রব কমাতে স্কুল চত্বর পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পর্যাপ্ত না থাকায় সেই কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

অর্পিতা মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০০:৫১
Share:

কলকাতায় ডেঙ্গিতে স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে জেলার নানা এলাকায় স্কুলগুলিকে সতর্ক করেছে প্রশাসন। মশার উপদ্রব কমাতে স্কুল চত্বর পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পর্যাপ্ত না থাকায় সেই কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

ডেঙ্গির হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের তরফে স্কুল চত্বর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা, সাফাই অভিযান চালানো, জল জমতে না দেওয়া, নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। কিন্তু অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষেরই অভিযোগ, এই সব কাজ করানোর মতো কর্মী নেই তাঁদের হাতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বহু স্কুলে তিন জন করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থাকার কথা। কিন্তু কোথাও কর্মীরা অবসর নিয়েছেন। কোথাও হয়তো মারা গিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় পদগুলি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, বহু স্কুলে তালা খোলা, ঘণ্টা বাজানো, শ্রেণিকক্ষে নোটিস পৌঁছনোর মতো কাজও শিক্ষকদের করতে হয়। শৌচাগার পরিষ্কার বা জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ করার কেউ নেই। শিক্ষকদেরই নিজেদের উদ্যোগে সেই সব কাজ করাতে হয় বলে অভিযোগ।

শহরাঞ্চলের কিছু স্কুল নিজেদের খরচে কর্মী রাখেন। শিক্ষার অধিকার আইনে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশোনা করা যায়। তবু স্কুল চালাতে খরচের কথা ভেবে শহরের পড়ুয়াদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা নেওয়া যেতে পারে বলে ঠিক করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। গ্রামের দিকে তা আরও কম। সেই টাকায় উন্নয়ন, খেলাধুলো, গ্রন্থাগার, পত্রপত্রিকা, নৈশপ্রহরী, বিদ্যুৎ, টেলিফোনের বিল, পরীক্ষা— সব রকম খরচ চালানোর কথা। যা খুবই সমস্যার বলে দাবি নানা স্কুল কর্তৃপক্ষের। তাঁরা জানান, অন্য খাত থেকে টাকা দিয়ে এই সব খরচ চালিয়ে নেওয়া হয়।

Advertisement

এরই মধ্যে বর্ষায় ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে স্কুলগুলিতে পরিচ্ছন্নতার উপরে বিশেষ জোর দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই কাজে আলাদা কর্মী রাখতে গেলে তার খরচ জোগাবে কে, সে নিয়ে চিন্তিত স্কুলগুলি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুর্গাপুরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘সামান্য বেশি ফি চাইলে অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ দিকে সরকারি ভাবে দীর্ঘদিন ধরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ করা হয়নি।’’ কাঁকসার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নেই। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই যতটা পারে স্কুল চত্বর পরিষ্কার করে।’’

শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তা হয়ে গেলেই সমস্যার সুরাহা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement