জমিতে রাস্তা, ক্ষতিপূরণ না মেলায় ক্ষোভ

পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি গ্যাস উত্তোলন সংস্থার ট্রাক ও ট্যাঙ্কার যাতায়াতের জন্য ওই এলাকার রাস্তা চওড়া করার দরকার পড়ে। তাতেই শিবানীদেবীর জমির কিছুটা রাস্তায় ঢুকে পড়েছে। শিবানীদেবীর ছেলে অসীমবাবুর অভিযোগ, তাঁদের জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০২:৫১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

অনুমতি ছাড়াই রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল ব্যক্তিগত জমিতে। মুখ্যমন্ত্রী দফতরে নালিশ করার পরে প্রশাসন তদন্তে তার সত্যতা পেলেও জমি ফেরত বা জমি বাবদ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে, অভিযোগ কাঁকসার গোপালপুরের এক বাসিন্দার। দ্রুত ব্যবস্থার জন্য ফের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।

Advertisement

শিবানী চক্রবর্তী নামে ওই বাসিন্দার অভিযোগ, ২০১৩ সালে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি গোপালপুর মৌজায় তাঁর প্রায় ৮৬৪ বর্গফুট জমিতে রাস্তা তৈরি করেছে। পঞ্চায়েত সমিতিকে বারবার বলেও ফল না হওয়ায় গত বছরের মাঝামাঝি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠান। সেখান থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় অবিভক্ত বর্ধমানের জেলাশাসকের দফতরকে। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ নভেম্বর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জয়জিৎ লাহিড়ি কাঁকসা ব্লক ভূমি দফতরের লোকজনকে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করার পরে মহকুমাশাসকের কাছে রিপোর্ট দেন। তাতে তিনি জানান, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর মহকুমাশাসক জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দেন।

পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি গ্যাস উত্তোলন সংস্থার ট্রাক ও ট্যাঙ্কার যাতায়াতের জন্য ওই এলাকার রাস্তা চওড়া করার দরকার পড়ে। তাতেই শিবানীদেবীর জমির কিছুটা রাস্তায় ঢুকে পড়েছে। শিবানীদেবীর ছেলে অসীমবাবুর অভিযোগ, তাঁদের জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে। অথচ, অভিযোগের সুরাহায় ইতিবাচক উদ্যোগ নেই। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আগাম কিছু না জানিয়েই আমাদের জমিতে রাস্তা হল। জমি ফেরত বা ক্ষতিপূরণ চাইতে গিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তাই হতাশ হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠাই।’’

Advertisement

জেলা ভাগের পরে ১১ মে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির ‘এগজিকিউটিভ অফিসার’ বিডিও-কে চিঠি দিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার আর্জি জানান। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয় পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসককেও। তার পরে দেড় মাস কেটে গেলেও ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নজরে পড়েনি বলে অভিযোগ অসীমবাবুর। দিন কয়েক আগে অভিযোগকারী, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্যাস সংস্থাকে নিয়ে একটি শুনানি হয়েছে। অসীমবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওই বৈঠক ছিল বেশ দায়সারা। তাই আবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি।’’ কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাসের অবশ্য আশ্বাস, ‘‘ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করে ফেলা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন