দুই দমকল কেন্দ্রের জন্য জমি চিহ্নিত

এই দুই ব্লকের কোথাও আগুন লাগলে ভরসা প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের আসানসোলের দমকলকেন্দ্র। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এ বার বারবনি ও সালানপুর ব্লকে দু’টি পৃথক দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আসানসোলের দমকল কর্তৃপক্ষ জমি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৬
Share:

এই দুই ব্লকের কোথাও আগুন লাগলে ভরসা প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের আসানসোলের দমকলকেন্দ্র। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এ বার বারবনি ও সালানপুর ব্লকে দু’টি পৃথক দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আসানসোলের দমকল কর্তৃপক্ষ জমি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরে।

Advertisement

ওই দুই ব্লকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক সময় আগুন লাগলে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছতে দেরি হওয়ায় ক্ষতি এড়ানো যায় না। বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুধন বাউরি বলেন, ‘‘অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষতির ঘটনা বহু বার ঘটেছে এলাকায়।’’ বারাবনির বিডিও অনিমেশ মান্না বলেন, ‘‘সমিতির বোর্ড সভায় দমকলকেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব মহকুমা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’

বুধনবাবু জানান, কেলেজোড়ায় এক বিঘা সরকারি খাস জমি চিহ্নিত হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিকাঠামোও পঞ্চায়েত সমিতি তৈরি করবে। সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল মজুমদারও জানান, সালানপুর লাগোয়া চিত্তরঞ্জন রোডের উপরে প্রায় ১২ কাঠা সরকারি খাস জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

কেলেজোড়ায় দুই থেকে তিন ইঞ্জিনের দমকলকেন্দ্র তৈরির বিষয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট উচ্চপদস্থ কর্তাদের পাঠানো হয়েছে। আসানসোল দমকল আধিকারিক সেলিম জাভেদ বলেন, ‘‘আশা করছি বারবনিতে নতুন কেন্দ্র তৈরির অনুমোদন মিলবে। সালানপুর অথবা কুলটিতে আরও একটি কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে।’’

এই মুহূর্তে আসানসোলের দমকল কেন্দ্রের উপরে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার ব্যাসের এলাকা নির্ভর করে। সালানপুর, বারবনি, কুলটি প্রভৃতি এলাকায় দিনে দিনে তৈরি হচ্ছে নতুন বাজার, শপিং মল প্রভৃতি। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আসানসোলের দমকলকেন্দ্রটির পক্ষে বিস্তীর্ণ এলাকায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে স্বীকার করেন সেলিম জাভেদ। তাঁর আশা, ‘‘সব ঠিকঠাক থাকলে আসানসোলকে আনুষ্ঠানিক জেলা ঘোষণার পরেই বারবনির প্রস্তাবিত জমিতে দমকলকেন্দ্র তৈরির পরিকাঠামো শুরু হয়ে যাবে।’’ বিষয়টি নিয়ে দমকলমন্ত্রীর কাছে তদ্বির করেছেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন