অগ্নিদগ্ধ বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
ডিওয়াইএফ-এর জোনাল কমিটির সম্পাদকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আউশগ্রামে। তারপর থেকেই ঘরছাড়া ওই নেতা ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের অভিযোগ, আত্মীয় স্বজনদেরও তাঁদের বাড়িতে না রাখার জন্য হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের লোকেরা। আউশগ্রাম থানার যদিও দাবি, বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে ওই দুর্ঘটনা।
বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই আউশগ্রামের প্রতাপপুর, বেসরা প্রভৃতি গ্রাম সিপিএম-তৃণমূলের বারেবারে গোলমালে খবরের শিরোনামে এসেছিল। কখনও পোস্টার টাঙাতে গিয়ে হামলা, কখনও পাল্টা লাঠি-রড নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে ফল বেরোনোর পর থেকেই সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চলছিল বলে অভিযোগ করছিলেন নেতারা। এ দিনের ঘটনা তারই ফল বলেও তাঁদের দাবি।
ডিওয়াইএফ-এর গুসকরা জোনাল কমিটির ওই নেতা অরূপ মিদ্যা ও তাঁর স্ত্রী হাসমাতারা বিবির অভিযোগ, গত ৯ জুন রাতে আউশগ্রামের প্রতাপপুর গ্রামে তাঁদের বাড়িতে এক দল দুষ্কৃতী হামলা করে। নগদ টাকা, সোনার গয়না লুঠ করার পাশাপাশি বাড়ির একাংশে আগুনও ধরিয়ে দেয় তারা। দুই মেয়েকে মারধরও করে বলে অরূপবাবুর অভিযোগ। পরে চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন জেগে উঠলে পালিয়ে যায় তারা। অরূপবাবুর দাবি, আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ করেছি। তবে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। জেলা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককেও বিষয়টি জানানো হবে বলে তাঁর দাবি। এ বার বিধানসভা ভোটে প্রতাপপুর লাগোয়া এলাকার বেশ কিছু বুথে সিপিএম জেতে। সেই রোষে তৃণমূলের লোকেরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে অরূপবাবুর দাবি।
তবে অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল। আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলের দাবি, ‘‘আমাদের দলের কেউ এতে জড়িত নয়। উনি নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে শুনেছি। গ্রামের মানুষের সঙ্গে মেলামেশাও নেই। সেখান থেকেই এই ঘটনা।’’ অরূপবাবুকে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফেরারও পরামর্শ দেন তিনি।