Complain Against BNM Leader

বিএমএস নেতার বাড়ির সামনে ক্ষোভ

বিক্ষোভকারীদের তরফে সৌমিত্র বিশ্বাস, মিনতি মণ্ডলেরা বলেন, “ওঁকে অনেক বার বেআইনি জলের সংযোগ ছিন্ন করতে ও সিসি ক্যামেরা সরাতে বলা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৪
Share:

ক্ষুদিরাম কলোনিতে। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের (ডিপিএল) বিএমএস নেতা নন্দদুলাল চক্রবর্তী বেআইনি ভাবে জলের সংযোগ নিয়েছেন এবং এমন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন, যার ফলে পাড়ার মহিলাদের অস্বস্তি হচ্ছে— এই মর্মে অভিযোগ করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শনিবার এই অভিযোগ তুলে ওই নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নেতার দাবি, বেআইনি ভাবে গাছ কাটার প্রতিবাদ করাতেই এ সব বলা হচ্ছে। দুর্গাপুরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম কলোনির ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিপিএলের জলের লাইন রয়েছে এলাকায়। রাস্তার পাশে কলও আছে। সেখান থেকে জল নেন অনেকে। পাশেই রয়েছে পুরসভার কমিউনিটি শৌচাগার। অনেকেই সেটি ব্যবহার করেন। বিক্ষোভকারীদের একাংশের অভিযোগ, কিছু দিন আগে রাস্তার কলের পাইপলাইন থেকে নন্দদুলাল তাঁর বাড়িতে বেআইনি ভাবে জলের লাইন টেনে নিয়েছেন। ফলে, রাস্তার কলে জল পর্যাপ্ত আসছে না। আরও অভিযোগ, তিনি বাড়ির সামনে যে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছেন, সেটির মুখ রয়েছে রাস্তার কল ও শৌচাগারের দিকে। ফলে, রাস্তার কলে স্নান করতে বা শৌচাগারে যেতে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে মহিলাদের।

বিক্ষোভকারীদের তরফে সৌমিত্র বিশ্বাস, মিনতি মণ্ডলেরা বলেন, “ওঁকে অনেক বার বেআইনি জলের সংযোগ ছিন্ন করতে ও সিসি ক্যামেরা সরাতে বলা হচ্ছে। কিন্তু কাজ হয়নি।” একই অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি শশাঙ্কশেখর মণ্ডলেরও। এ দিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পুলিশ দেরিতে এসেছে, এমন অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। শেষমেশ পুলিশের আশ্বাসেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নন্দদুলাল বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। বেআইনি ভাবে গাছ কাটার প্রতিবাদ করেছি। গাছ কাটার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। আমাকে হুমকি দিয়ে আশিসনগরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আমি যাইনি। তাই এমন পরিস্থিতি।” যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শশাঙ্কশেখর বলেন, “উনি নিজের বেআইনি কাজ থেকে নজর ঘোরাতে এ সব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”

এ দিন ঘটনার খবর পেয়ে ডিপিএলের নিরাপত্তা বিভাগের এক কর্মী ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর আশ্বাস দেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন