Teacher

ছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, সন্দেহের বশে শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, প্রাণ বাঁচাতে ছাদ থেকে ঝাঁপ

তাঁর দুটো পা ভেঙেছে। জখম শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৪৭
Share:

রমেনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

ছাত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে এক শিক্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে ব্যাপক ভাঙচুর চালালেন স্থানীয়রা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার মণ্ডলহাটে। মারমুখী জনতার হাত থেকে বাঁচতে দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন ওই শিক্ষক। তাঁর দুটো পা ভেঙেছে। জখম শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, কাটোয়া রাজমহিষী দেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষক রমেন। মণ্ডলহাটে বাবা, মা, স্ত্রী এবং দুই ছেলে ছেলেকে নিয়ে সংসার। অনেক ছাত্রছাত্রী তাঁর কাছে পড়তে আসেন। তাঁদের মধ্যেই এক ছাত্রীর সঙ্গে রমেনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একটা চাপা উত্তেজনা চলছিল কয়েক দিন ধরেই। সোমবার রাত ৯ টা নাগাদ এলাকার বেশ কিছু লোকজন রমেনের বাড়িতে আচমকা চড়াও হয়ে তাণ্ডব শুরু করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় এক ছাত্রীকে বাইকে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় দাঁইহাট মোড়ের কাছে রমেনকে আটকান স্থানীয় বেশ কিছু যুবক। ওই তরুণী কাটোয়া কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। রমেনের কাছে পড়েন। তাঁর সঙ্গে রমেনের সম্পর্ক রয়েছে এই অভিযোগ তুলে হেনস্তা করেন ওই যুবকরা। তাঁরা বিষয়টি ছাত্রীটির বাড়িতেও জানান।

Advertisement

এর পরই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বেশ কিছু লোকজন জড়ো হয়ে রমেনের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। রমেন নিজের প্রাণ বাঁচাতে ছাদ থেকে লাফ মারেন। তখনই তাঁর দু’পা ভেঙে যায়। ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রমেনকে উদ্ধার করে। তাঁর স্ত্রী সুচিত্রার দাবি, শুধুমাত্র সন্দেহের বশে একদল মানুষ তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁর স্বামীকে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সুচিত্রার। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। প্রতিবেশী বিনয় দেবনাথের দাবি, ওই ছাত্রীর সঙ্গে রমেনের সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও ছাত্রীর পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন