প্রতীকী ছবি।
দেওয়াল লিখন প্রায় সারা। অথচ প্রার্থী ঘোষণা হয়নি মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত। অন্য দিকে, বিরোধী প্রার্থীরা প্রচার শুরু করে দিয়েছেন জোরকদমে। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর, কাঁকসা এলাকায় বিজেপির দলীয় কর্মী, সমর্থকদের একাংশের এখন একটাই প্রশ্ন, প্রার্থী কবে ঘোষণা কবে।
সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর এসেছেন। কাঁকসার পানাগড়ে পদযাত্রা, সভা করেছেন। তৃণমূলের প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ মমতাজ সংঘমিতাও দুর্গাপুরে পদযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন সোমবার। কিন্তু বিজেপির দেওয়াল লিখন সারা হলেও প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় মিছিল, মিটিং সে ভাবে হয়নি দুর্গাপুরে, খবর দলীয় সূত্রেই।
দুর্গাপুর শহরের সগড়ভাঙা, ডিএসপি টাউনশিপ, ডিভিসি মোড়-সহ নানা জায়গায় কোথাও বিরোধী দলকে লক্ষ করে ছড়া কাটা, কোথাও বা দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর আর্জি জানিয়ে দেওয়াল লিখেছে বিজেপি। কাঁকসার পানাগড়ের রেলপাড়-সহ বেশ কিছু জায়গাতেও দেওয়াল লিখন হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দুর্গাপুর, কাঁকসা এলাকার বিজেপি কর্মীরা জানান, প্রার্থী ঘোষণা দ্রুত হবে ধরে নিয়েই তাঁরা দেওয়াল লিখনে জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু নানা কারণে তা এখনও হয়নি। অন্য দিকে বিরোধী প্রার্থীরা এলাকায় গিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুরের এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই আসল প্রচার। তা এখনও আমরা করতে পারিনি। সাধারণ সমর্থকেরা বারবার আমাদের কাছে জানতে চাইছেন প্রার্থী কে।’’ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কাঁকসার এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। যত তাড়াতাড়ি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয় তত ভাল। অনেকেই ধৈর্য হারাচ্ছেন।’’ প্রার্থীর অভাবে যে প্রচার মার খাচ্ছে বা সমর্থকদের উৎসাহ কমছে, তা অবশ্য মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘আমাদের দলের কর্মীরা সাংগঠনিক নিয়ম মেনে কাজ করেন। দলীয় নির্দেশ মেনে তাঁরা প্রচারের কাজ করছেন। কোথাও কোনও হতাশার চিহ্ন নেই। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীর সমর্থনেও প্রচার শুরু করবেন তাঁরা।’’