এই বাড়িতে বৈঠক চলাকালীন হামলা হয় বলে নালিশ বিজেপির। নিজস্ব চিত্র
কর্মিসভা চলাকালীন বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুসকরার বিদায়ী পুরপ্রধান তৃণমূলের বুর্ধেন্দু রায়ের মদতে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই হামলা হয়েছে বলে বিজেপি নেতাদের অভিযোগ। যদিও পুরো ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেছেন বুর্দ্ধেন্দুবাবু। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির লোকজনই তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে আক্রমণ করেছেন। দু’পক্ষই জানায়, পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে তারা। যদিও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিজেপি-র গুসকরা নগর কমিটির সম্পাদক দীপক ঢালি অভিযোগ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, তাঁদের কর্মী সুবল শীলের বাড়িতে ২০১ নম্বর বুথের কর্মীদের নিয়ে সভা হচ্ছিল। রাত ৮টা নাগাদ ওই ওয়ার্ডেরই বিদায়ী কাউন্সিলর বুর্দ্ধেন্দুবাবুর নেতৃত্বে এক দল লোক বাঁশ, লাঠি, রড নিয়ে আচমকা চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপি নেতাদের দাবি, দুষ্কৃতীদের মারধরে ওই বুথের সভাপতি স্বরাজ হালদার, সুবলবাবু ও তাঁর স্ত্রী শিখাদেবী-সহ জনা পাঁচেক দলীয় কর্মী জখম হন। তাঁদের গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। তার পরে গুসকরা ফাঁড়িতে অভিযোগ জানানো হয়। বিজেপি-র গুসকরা নগর কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন মণ্ডলের দাবি, হামলার সময়ে দলের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে নানা কাগজপত্রও ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। পুরো বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
হামলার অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন বুর্দ্ধেন্দুবাবু। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, রাত ৮টা নাগাদ তাঁদের দলের কর্মী-সমর্থকেরা ওই ওয়ার্ডের নেতাজিপল্লির দিকে দেওয়াল লিখনের জন্য যাওয়ার সময়ে বিজেপির কর্মীরাই লাঠি, রড নিয়ে চড়াও হয়ে তাঁদের মারধর করে ও খুনের হুমকি দেয়। তাতে জনা ছয়েক তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন বলে তাঁর দাবি। তাঁদের তরফেও গুসকরা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিজেপি যদিও এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, দু’তরফের অভিযোগের তদন্ত চলছে।