গুসকরায় হোর্ডিং। নিজস্ব চিত্র
পুরসভা সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের হোর্ডিং না খোলায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করল বিরোধীরা। গুসকরা শহরের ঘটনা। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুসকরা পুরসভা এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদ রায়তলায় স্বামী বিবেকানন্দ কর্মসংস্থান প্রকল্পের একটি হোর্ডিং টাঙানো হয়েছিল। সিপিএম এবং বিজেপির অভিযোগ, ভোট ঘোষণার এক সপ্তাহ পরেও তা টাঙানো রয়েছে। এর মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর মনোজ সাউয়ের অভিযোগ, “এ ধরনের সরকারি উন্নয়নমূলক প্রচারের ব্যানার, ফেস্টুন বা হোর্ডিং পুরসভার খুলে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এখনও কোথাও কোথাও তা চোখে পড়ছে।’’ সেগুলি অবিলম্বে খোলার বা ঢেকে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক আকলিমা খাতুনের দাবি, “নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরের দিনেই ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ ভাবে এ ধরনের সমস্ত ব্যানার, ফেস্টুন খুলে নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী হোর্ডিংগুলিতে সাদা রঙ করা হয়েছে। তার পরেও যদি কোথাও তা থেকে থাকে ভুল করে থেকে গিয়েছে। তা অবিলম্বে খুলে বা সাদা রঙ করে দেওয়া হবে।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপির গুসকরা নগর কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন মণ্ডলের আবার অভিযোগ, পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গার বিদ্যুতের খুঁটিতে তৃণমূলের ফ্লাগ টাঙানো রয়েছে। আউশগ্রাম ১-এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু বলেন, ‘‘এ ধরনের অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেও কিছু নজরে এলে তা খুলে নেওয়া হচ্ছে। কর্মীরা এলাকায় ঘুরছেন।’’