প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে ছোট-বড় মিলিয়ে জেলায় এ বার সাড়ে পাঁচ হাজার গাড়ি লাগবে বলে মনে করছে প্রশাসন। ভোটের কর্মী, আধিকারিক, নিরাপত্তা কর্মীদের যাতায়াতের জন্যে ব্যবহার করা হবে গাড়িগুলি। তার মধ্যে প্রতিটি ব্লকে একটি করে ট্রাক্টর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্তাদের দাবি, বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অনেক সময় প্রত্যন্ত এলাকায় বুথে পৌঁছনো মুশকিল হয়ে যায়। সেখানে মুশকিল আসান হবে ট্রাক্টর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে. পূর্ব বর্ধমানে ৪৪৫৬টি বুথের জন্যে মোট ২১ হাজার ৪০০ ভোটকর্মী প্রয়োজন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এ বারেও ভোটকর্মীদের সমস্ত তথ্য মজুত করে রেখেছে জেলা প্রশাসন। যাতে ভোট ঘোষণা হওয়া মাত্রই কর্মীদের চিঠি দিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়। এ বার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি বুথেই ‘ভিভিপ্যাড’ থাকছে। তার কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশদে জানাতে চাইছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “ভোটকর্মীদের বুথে আনা-নেওয়ার জন্যে আনুমানিক ১৭০০টি গাড়ি প্রয়োজন হবে।’’
ভোটকর্মীদের বুথে বুথে পাঠানোর জন্যে ‘ভেহিক্যালস ম্যানেজমেন্ট প্লান’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে ডিসিআরসি (ডিস্ট্রিবিউশন কাম রিসিভিং সেন্টার) থেকে প্রতিটি বুথে কী ভাবে ভোটকর্মীরা পৌঁছবেন তার সচিত্র প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর সেই কাজ করছে। আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক রানা বিশ্বাস বলেন, “সব মিলিয়ে ৩৫০০ গাড়ি ভাড়া করতে হবে। তার সঙ্গে রয়েছে ট্রাক্টর।’’
২০১৬ বিধানসভা ভোটের সময়েও কয়েকটি বুথে ভোটকর্মীদের পৌঁছনোর ভরসা ছিল ট্রাক্টর। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “জেলার কোন এলাকায় কতগুলি বুথ, কতগুলি সেক্টর, তার জন্য কতগুলি গাড়ির প্রয়োজন, তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। রুট-ম্যাপও করা হয়েছে।’’ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে বিদ্যুৎ, শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কাজ চলছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।