কড়া নজরদারি ঝাড়খণ্ড সীমানায়

গত বার এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেনকে হারিয়ে দেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। এ বার বাবুলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ মুনমুন সেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৬
Share:

রওনা: ভোটের সামগ্রী সংগ্রহ করে বুথে চলেছেন কর্মীরা। রবিবার দুর্গাপুরে। ছবি: বিকাশ মশান

আবহাওয়া দফতর বলছে, আজ, সোমবার এই অঞ্চলের তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৪৪ ডিগ্রিতে। আবহাওয়ার মতো গত কয়েক দিনে রাজনৈতিক তর্জাতেও তেতে উঠেছে এলাকা। এমন তপ্ত হাওয়ার মধ্যে আজ ভোটে যাচ্ছে আসানসোল।

Advertisement

গত বার এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেনকে হারিয়ে দেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। এ বার বাবুলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ মুনমুন সেন। ২৩ এপ্রিল নরেন্দ্র মোদী বাবুলের সমর্থনে সভা করে যাওয়ার পরে ২৬ এপ্রিল এলাকায় জোড়া সভা ও পদযাত্রা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুঙ্গে উঠেছে দু’পক্ষের তর্জা। বাবুল, মুনমুন এবং সিপিএমের গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন সাত জন প্রার্থী।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন জানায়, ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই ঝাড়খণ্ড সীমানায় চলেছে কড়া নজরদারি। এ দিন ভোটের সামগ্রী নিয়ে বুথে রওনা হয়ে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা। মোট ১৮৬০টি বুথের জন্য ৭৪৪০ জন ভোটকর্মী নিয়োগ হয়েছেন। প্রায় ন’শো বুথকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটপ্রক্রিয়া নজরে রাখতে থাকছেন ৪৬১ জন মাইক্রো অবজ়ারভার। মোতায়েন হয়েছে ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একাধিক বুথ, সেখানে চার জন জওয়ান থাকবেন। যেখানে শুধু একটিই বুথ রয়েছে, সেখানে দু’জন জওয়ান থাকবেন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার আসানসোলে এসে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভোটকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। ভোট শুরুর ১২ ঘণ্টা আগে থেকে বুথের চার পাশ ফাঁকা করে দিতে হবে। রবিবার দুপুরে বেশ কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়েছে। আসানসোল রেলপাড়, রবীন্দ্রভবন, বারাবনির পাঁচগাছিয়া, মদনপুর-সহ নানা এলাকায় দেখা গিয়েছে আধাসেনাকে। আসানসোলের চেলিডাঙায় একটি বুথের কাছে দুপুরে জটলা করছিলেন জনা কুড়ি যুবক। জওয়ানেরা তাঁদের সরিয়ে দেন।

রবিবার সকাল থেকে ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকাতেও ছিল জোর নজরদারি। বরাকরের বেগুনিয়া, ডুবুরডিহি, রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জনে চেকপোস্টগুলিতে নাকা তল্লাশি চালানো হয়। পরীক্ষা করা হয় প্রত্যেকটি গাড়ি। পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন) অরিন্দম রায় বলেন, ‘‘গোটা ভোট প্রক্রিয়া কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন