কম খরচে ভাল ফলন, সাফল্য সূর্যমুখীতে

বিকল্প চাষ হিসেবে এ বারই প্রথম পূর্বস্থলীতে সূর্যমুখী চাষ করেছিল কৃষি দফতর। সাফল্য দেখে কর্তাদের দাবি, চাষের এলাকার আরও বাড়বে।বিকল্প চাষ হিসাবে ডাল ও তৈলবীজ জাতীয় ফসলের এলাকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে কৃষি দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ২৩:৩১
Share:

বিকল্প চাষ হিসেবে এ বারই প্রথম পূর্বস্থলীতে সূর্যমুখী চাষ করেছিল কৃষি দফতর। সাফল্য দেখে কর্তাদের দাবি, চাষের এলাকার আরও বাড়বে।

Advertisement

বিকল্প চাষ হিসাবে ডাল ও তৈলবীজ জাতীয় ফসলের এলাকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে কৃষি দফতর। সেই সূত্রেই পূর্বস্থলী মৌজার ২০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করা হয়। ‘আত্মা’ ও ‘ন্যাশনাল মিল ফর অয়েল সিড অ্যান্ড অয়েল পাম্প’ নামে দু’টি প্রকল্পে আট জন চাষিকে নিয়ে শুরু হয় এই চাষ। বীজ-সহ চাষের প্রয়োজনীয় সামগ্রীও চাষিদের দেওয়া হয়। কী ভাবে চাষ হবে, বিশেষজ্ঞরা সে বিষয়ে জানান চাষিদের।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গাছে ফুল এসেছে। বিশেষজ্ঞদের একটি দল সম্প্রতি এলাকা পরিদর্শনও করেন। পূর্বস্থলী ২-এর কৃষি আধিকারিক জনার্দন ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘এলাকার মাটিতে সূর্যমুখীর চাষ দারুণ ভাবে সফল। বিঘে প্রতি দু’ক্যুইন্টালেরও বেশি ফলন মিলতে পারে। আশা করি, আগামী দিনে এই চাষের এলাকা আরও বাড়বে।’’

Advertisement

প্রথম বার এই চাষ করে খুশি স্থানীয় চাষি উৎপল ঘোষ, জীবন ঘোষ, নিমাই সাহারও। তাঁরা বলেন, ‘‘চাষে খুব একটা খরচ নেই। ভাল ফলনও মিলছে। বিক্রির অসুবিধা না হলে আরও জমিতে এই চাষ করব।’’ তবে চাষ করতে গিয়ে কিছু সমস্যাও হতে পারে বলে চাষিদের দাবি। কী রকম? এক চাষি জানান, ফড়েদের কাছে এই চাষের বীজ মেলে না। তা ছাড়া সূর্যমুখী তেল তৈরির কল নেই বর্ধমানে। সূর্যমুখী থেকে তেল তৈরির একমাত্র কলটি রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। যদিও সর্ষে থেকে যেখানে ২০-২৫ শতাংশ তেল মেলে, সেখানে সূর্যমুখী থেকে মেলে ৪২-৪৩ শতাংশ তেল। জনার্দনবাবু জানান, এলাকায় সূর্যমুখী তেল তৈরির যন্ত্রাংশ আনানোর চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন