তালিকা তৈরি, কাজ বাকি

সমস্যা বহু। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও সুরাহা মেলে না বলে অভিযোগ। ভাঙাচোরা অবস্থা জেলার নানা প্রাথমিক স্কুলের।সমস্যা বহু। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও সুরাহা মেলে না বলে অভিযোগ। ভাঙাচোরা অবস্থা জেলার নানা প্রাথমিক স্কুলের।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share:

বারাবনির স্টেশনপাড়া স্কুল। ছবি: পাপন চৌধুরী

জেলার নানা প্রান্তে প্রাথমিক স্কুলের বেহাল দশার কথা জানেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। বেশ কিছু পদক্ষেপের পরিকল্পনাও হয়েছে বলে তাঁরা জানান। কিন্তু কাজের কাজ এখনও কিছু হয়নি। গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনও।

Advertisement

চিত্তরঞ্জন শিক্ষাচক্রের স্কুল পরিদর্শক প্রসেনজিৎ বারিক জানান, সালানপুরের পাহাড়গোড়ার স্কুলটি অন্যত্র সরাতে হবে। ইসিএলের তরফে নতুন ভবন তৈরির অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। শিক্ষা দফতরের কাছে ভবন স্থানান্তরের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তা না মেলা পর্যন্ত কিছু করা যাবে না। রূপনারায়ণপুরে কেব্‌লস কারখানার স্কুলগুলি প্রসঙ্গে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ‘নো-অবজেকশন’ শংসাপত্র চাওয়া হয়েছে। তা পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

বারাবনি শিক্ষাচক্রের স্কুল পরিদর্শক অক্ষয় ভট্টাচার্য জানান, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কাছে বারাবনির স্টেশনপাড়া স্কুলটির চারপাশে পাঁচিল দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। পাঁচিলটি হয়ে গেলে দূষণের সমস্যা কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন তাঁরা। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলটি স্থানান্তরের জন্য প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি নতুন ভবন তৈরি করেছিল বেসরকারি খনি সংস্থা। কিন্তু ধসপ্রবণ এলাকায় সেই ভবনের দেওয়াল, ছাদ ও মেঝেতে ফাটল ধরেছে। তাই স্কুলটি আর নতুন ভবনে স্থানান্তর করা যায়নি।

Advertisement

বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, নানা বিনোদনমূলক খাতে লক্ষ-লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হচ্ছে। অথচ, বেহাল প্রাথমিক স্কুলগুলির হাল ফেরাতে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই। এবিটিএ-র রাজ্য কমিটির সদস্য সুব্রত ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নিখিলচন্দ্র মাজিদের দাবি, এ বিষয়ে অনেক বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কিছু হচ্ছে না। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর জেলা সভাপতি আশিস দাস বলেন, ‘‘এই অভিযোগ একেবারে ঠিক নয়। জেলার প্রায় সব স্কুলেরই পরিকাঠামোর যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। দু’একটির অবস্থা খারাপ থাকলে সেগুলি সংস্কারেও দ্রুত হাত পড়বে।’’

বেহাল স্কুলগুলির ভবন সংস্কারে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রশান্ত মণ্ডলও। তিনি বলেন, ‘‘পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে এমন ১২৪টি স্কুলের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’ তিনি আরও জানান এই কাজের জন্য শিক্ষা দফতর থেকে অর্থ অনুমোদন করা হয়। তার পরে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্কুলের তালিকা তৈরি হয়। চলতি অর্থবর্ষে সেই তালিকা ধরে কাজ হবে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান আশিস দে জানান, তাঁর কাছেও কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা পরিকাঠামো উন্নয়নের আবেদন জানিয়েছেন। শিক্ষা দফতরের তৈরি করে দেওয়া তালিকার ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন