পূর্বস্থলীতে উদ্ধার আরও বোমা

আগের দিনই বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন এক তাঁতশ্রমিক। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার পূর্বস্থলীর ওই চর গোয়ালপাড়া এলাকা থেকেই মিলল ৩০টি তাজা বোমা। পরে সিআইডির বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যেরা সেখানে গিয়ে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০১:১১
Share:

বোমা নিষ্ক্রিয় করতে মাঠে বম্ব স্কোয়াডের প্রতিনিধি। নিজস্ব চিত্র

আগের দিনই বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন এক তাঁতশ্রমিক। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার পূর্বস্থলীর ওই চর গোয়ালপাড়া এলাকা থেকেই মিলল ৩০টি তাজা বোমা। পরে সিআইডির বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যেরা সেখানে গিয়ে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করেন।

Advertisement

ভোট ঘোষণা হতেই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বিজেপি আঙুল তুলেছে তৃণমূলের দিকে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকদের অন্যতম রাজীব ভৌমিকের দাবি, ‘‘ভোটে সন্ত্রাস করার জন্য বোমা বাধছিল শাসকদলের লোকেরা। শুধু ওই এলাকা নয়, আরও অনেক জায়গাতেই মজুত করা হচ্ছে বোমা।’’ যদিও অভিযোগ মানেনি তৃণমূল। করেছে। নসরৎপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আনারুল মণ্ডলের দাবি, ‘‘বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নন। বোমা নয়, মুখ্যমন্ত্রী যে উন্নয়ন করেছেন তা নিয়েই আমরা প্রচারে নামছি।’’ তাঁর দাবি, প্রতিবারই ভোটের আগে বিজেপি এলাকার পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করে। এ বারও তাঁরা নেমে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে ওই তাঁত শ্রমিক আফসার শেখের (৫৫) বাড়িতে বিস্ফোরণের পরেই কয়েকজনতে পালাতে দেখা যায়। আফসারকে নিয়ে বাড়ির পাশের আলপথ দিয়ে কিলোমিটার খানেক হেঁটে কয়েকজন পাশের ভুট্টাখেতে ঢুকে যান বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরে পুলিশ সেখান থেকে আফসারকে উদ্ধার করে প্রথমে কালনা হাসপাতাল, পরে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠায়। রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। রাত থেকেই এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। মেলে আরও ৩০টি বোমা। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ দুর্গাপুরের সিআইডি-র ‘বম্ব ডিসপোসাল’ দলের চার সদস্য গ্রামে যান। বিস্ফোরণস্থল ও তার আশপাশে তল্লাশি চালানোর পরে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, আফসার আগে নদিয়ার মানিকনগর এলাকায় বসবাস করতেন। বছর সাতেক আগে তিনি আসেন চর গোয়ালপাড়া এলাকায়। এ দিন তার তাঁত ঘরে গিয়ে দেখা যায়, বিস্ফোরণে বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। সিআইডির এক সদস্যর দাবি, বোমার মধ্যে ছিল লোহার পেরেক, ব্লেডের মতো নানা জিনিস। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করছে। কী কারণে বোমাগুলি মজুত করা হচ্ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন