—প্রতীকী ছবি।
শিক্ষা দফতর থেকে কিছু জানানো হয়নি। অথচ, রাজ্য সরকারের তরফে সব দফতর ছুটির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিন উপলক্ষে ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভুগল স্কুলগুলি। কিছু স্কুল ছুটি দিয়ে দিল, কিছু রইল খোলা।
শনিবার দুর্গাপুরের অধিকাংশ স্কুলেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। আবার নানা স্কুলে ক্লাস হয়েছে। দুর্গাপুর টিএন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি চিঠি বা ছুটির নির্দেশিকা এখন অনলাইনেই আসে। কিন্তু শনিবারের ছুটি নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট নোটিস আমরা পাইনি। তাই স্কুলে ছুটি দিতে পারিনি।’’ একই কথা জানান নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক, সগড়ভাঙা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্লোল খাঁ-ও।
স্কুল খোলা থাকবে না বন্ধ, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে বহু পড়ুয়া এ দিন স্কুলে আসেনি। ফলে, পড়ুয়ার অভাবে কিছু স্কুলে বিধানচন্দ্র রায়ের স্মরণসভা করেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। যেমন, পঠন-পাঠন হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় বহু পড়ুয়া আসেনি এবিভি হাইস্কুলে। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ কী করবেন, প্রথম দিকে ঠিক করে উঠতে পারেননি। পরে অবশ্য স্কুলে আসা পড়ুয়াদের নিয়ে বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন পালনের পরে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তবে স্কুলে ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা।
নানা প্রাথমিক স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, পড়ুয়ারা এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘‘ছুটির সিদ্ধান্ত আগাম জানানো উচিত। তাহলে এ ভাবে বিপাকে পড়তে হতো না পড়ুয়াদের।’’ ডিপিএল বয়েজ হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক জইনুল হক অবশ্য বলেন, ‘‘গত বছর অর্থ দফতরের নোটিসেই অর্ধদিবস স্কুল হয়েছিল। তাহলে এ বারই বা সেই নোটিসে স্কুল সারা দিন বন্ধ থাকবে না কেন!’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্থ দফতর থেকে যে চিঠি আসে তাতে সরকারি দফতরের কথা উল্লেখ থাকলেও স্কুলে ছুটির প্রসঙ্গটি ছিল না। পশ্চিম বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্খ সাঁতরা জানান, শিক্ষা দফতর থেকে সরাসরি স্কুলগুলিতে যোগাযোগ না করায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় স্কুল খোলা রাখায় কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। অনেক স্কুলে পরীক্ষা থাকায় সেগুলিও চালু রাখতে হয়েছে।