কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক

রাজ কলেজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কী করা উচিত, তা নিয়ে বৈঠক হয়ে গেল শহরের মহিলা কলেজে। কলেজের প্রায় ৬০ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ছাড়াও অনেক প্রাক্তন শিক্ষক ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসনও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৬ ০০:৫২
Share:

রাজ কলেজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কী করা উচিত, তা নিয়ে বৈঠক হয়ে গেল শহরের মহিলা কলেজে। কলেজের প্রায় ৬০ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ছাড়াও অনেক প্রাক্তন শিক্ষক ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসনও। জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের হলে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হবে।

Advertisement

তবে তার আগেই রাজ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন, এই পরিস্থিতিতে তাঁদের ‘একসঙ্গে’ থাকতে হবে। কলেজের উন্নতির জন্য কোনও ভারপ্রাপ্তের হাতে নয় সর্বক্ষণের অধ্যক্ষের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। সভায় হাজির বেশ কয়েক জন শিক্ষক বলেন, “আমাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত ওই বৈঠকে জেলাশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”

গত শুক্রবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘরের সামনে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মদতে কলেজের বেশ কিছু চুক্তিবদ্ধ কর্মী ও ছাত্ররা বারেবারে এই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নাম দিয়ে অভিযোগও করেন কলেজের প্রবীণ এক শিক্ষিকা। ওই দিনই পুলিশ এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে। পরে জামিন পান তিনি। বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অভিযোগ পাওয়ার পরেই রাতভর তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের খোঁজ মেলেনি। আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, “তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের ঠিক খুঁজে পাব।” এ দিকে, শনিবার জেলা টিএমসিপি রাজ কলেজে সংগঠনের ইউনিটটিই ভেঙে দিয়েছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের নির্দেশে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে ওই কলেজে টিএমসিপির কোনও সংগঠন থাকল না।” ছাত্র সংসদের একাংশের দাবি, গোলমাল থেকে হাত ধুয়ে ফেলতেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন