কুমারপুরে কাজ শুরুর আশা

উড়ালপুলের জট কাটাতে বৈঠকে দু’পক্ষ

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমারপুরে যেখানে উড়ালপুলটি হবে সেখানে কিছু অবৈধ নির্মাণ রয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০১:৫৯
Share:

এই এলাকাতেই উড়ালপুল তৈরির কথা। এ ভাবেই লেভেলক্রসিংয়ে আটকে থাকতে হয় বাসিন্দাদের। কুমারপুরে। ছবি: পাপন চৌধুরী

কুমারপুরে প্রস্তাবিত উড়ালপুলের কাজ দ্রুত শুরু করতে সোমবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করলেন রেলের আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিকেরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে দু’পক্ষই জানান, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তাঁদের আশা, কয়েকদিনের মধ্যেই কাজে হাত পড়বে।

Advertisement

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমারপুরে যেখানে উড়ালপুলটি হবে সেখানে কিছু অবৈধ নির্মাণ রয়েছে। এ ছাড়া, মাটির তলা দিয়ে গিয়েছে গ্যাস ও জলের পাইপলাইন। সেগুলি না সরালে নির্মাণকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। রেলের কর্তাদের অভিযোগ, প্রায় আট মাস আগে সেগুলি সরানোর বিষয়ে আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি।

উড়ালপুলের কাজ থমকে থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে রেল ও জেলা প্রশাসন। দ্রুত সমস্যা মেটাতে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ আসানসোলের ডিআরএম সুমিত সরকারের নেতৃত্বে রেলের আধিকারিকদের একটি দল জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠির কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠকে বসেন।

Advertisement

অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম রায় বলেন, ‘‘বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব সব রকম বাধা কাটিয়ে উড়ালপুলের কাজ শুরু করা হবে।’’ এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় যা পদক্ষেপ করার, তা করা হবে বলে জানান অরিন্দমবাবু। রেলের তরফে ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কনস্ট্রাকশন-১) আশিস ভরদ্বাজ বলেন, ‘‘যে সমস্যা রয়েছে তা দূর করতে কী করতে হবে, আমরা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করি, দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’

আশিসবাবু জানান, রেলের জমিতে বেশ কয়েকটি দোকান ও ধাবা আছে। সেগুলি সরাতে হবে। তা না হলে নির্মাণের কাজ শুরু করা যাবে না। রেল ও জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পূর্ত দফতর খুব তাড়াতাড়ি দখল উচ্ছেদে নোটিস জারি করবে। সাত দিনের মধ্যে দখলদারেরা উঠে না গেলে প্রশাসন সেগুলি তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের উদ্যোগে রেল ও সেল যৌথ ভাবে কুমারপুরে এই উড়ালপুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ দিন বাবুল বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে আমি ওই এলাকায় দখলদারদের সঙ্গে কথা বলেছি, বুঝিয়েছি। সেতুর তলায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে। আমার উদ্যোগেই আজ বৈঠক হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন