বিদ্যুৎ-পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর আসানসোল এলাকায়

ঠিক কী ধরনের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে? অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানিয়েছেন, ১১ ও ৩৩ হাজার ভোল্টের কেব্‌ল মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এলাকায় সরবরাহের জন্য ‘ইনসুলেটেড’ কেব্‌ল ব্যবহৃত হবে। তিনি বলেন, ‘‘এই কাজটি প্রথমে আসানসোল মূল শহরে শুরু করা হচ্ছে। পরে, আশপাশের এলাকায় করা হবে। মূলত এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:২৮
Share:

চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

আসানসোল শহর-সহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। সোমবার বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরে, এ কথা জানিয়েছেন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে বিদ্যুৎ দফতরে জমা করা হয়েছে। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে এই আর্থিক অনুদান মিলেছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা। কাজের বরাত ডেকে আগামী দু’বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা আসানসোল পুরসভার কমিশনার খুরশিদ আলি কাদরি জানিয়েছন, পরিকাঠামোর উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পটি রূপায়িত হয়ে গেলে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। অন্য দিকে, বিদ্যুৎ চুরিও রোখা যাবে।সোমবার এই ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অভিজিৎ সেভলে তুকারাম, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার রাজু মণ্ডল ও ডিভিশনাল ম্যানেজার শুভেন্দু চক্রবর্তী। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন ‘ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট স্কিম’ (আইপিডিএস)-এর আওতায় পুরো কাজটি হবে।

ঠিক কী ধরনের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে? অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানিয়েছেন, ১১ ও ৩৩ হাজার ভোল্টের কেব্‌ল মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এলাকায় সরবরাহের জন্য ‘ইনসুলেটেড’ কেব্‌ল ব্যবহৃত হবে। তিনি বলেন, ‘‘এই কাজটি প্রথমে আসানসোল মূল শহরে শুরু করা হচ্ছে। পরে, আশপাশের এলাকায় করা হবে। মূলত এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট।’’

Advertisement

এ দিনের বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, প্রকল্পটি রূপায়িত হলে, প্রথম সুবিধা হবে ঝড়-বৃষ্টিতে তারের ক্ষতি হবে না। ফলে, বিদ্যুত সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে না। দ্বিতীয়ত, শহর ও গ্রামাঞ্চলে লাগামছাড়া বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। সংস্থা সূত্রের দাবি, জেলার দুই মহকুমার মধ্যে আসানসোলে বিদ্যুৎ চুরির পরিমাণ প্রায় ১৮ শতাংশ। চুরি সবচেয়ে বেশি হয় রূপনারায়ণপুর এলাকায়। এর পরে বারাবনি, কুলটি ও আসানসোল শহর। চুরির প্রবণতা সব চেয়ে কম জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জে। দুর্গাপুর মহকুমায় চুরির পরিমাণ কিছুটা কম। প্রায় সাত শতাংশ। সংস্থার আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মিটারে কারচুপি রুখতে ইতিমধ্যে প্রত্যেক গ্রাহকের ঘরে ডিজিটাল মিটার বসানো হয়েছে। কিন্তু হুকিংয়ের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। তাই মাটির তলায় উচ্চ ও নিম্ন ক্ষমতাসম্পন্ন কেব্‌ল বসানো হলে ও সরবরাহকারী লাইনে ইনসুলেটেড কেব্‌ল লাগানো হলে তার কেটে অবৈধ সংযোগ নেওয়া বন্ধ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন