পাঁচ বছর বন্দি দশায় কাটানোর পরে ঘরে ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা। সোমবার জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আঞ্জুমান আরা বেগম নামে মাঝবয়েসী ওই মহিলাকে তাঁর এক আত্মীয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই আত্মীয় বলেন, ‘‘আমরা ভাবতেই পারিনি ও এখনও বেঁচে আছে।’’ জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সম্পাদক জয়প্রকাশ সিংহ জানান, বছর পাঁচেক আগে বিহারের খানবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আঞ্জুমান আরাকে স্থানীয় একটি মন্দির থেকে ঠাকুরের শাড়ি চুরি করার দায়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বাসিন্দারা। মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় নানা সংশোধনাগার ঘুরে আরামবাগে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে মাস ছয়েক আগে আসেন বর্ধমানে। এরপরে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মহিলা আধিকারিক সোনালি রায়ের উদ্যোগে তাঁর পরিবারের খোঁজখবর শুরু হয়। আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আদালতের দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার তাঁর পরিজনদের কাছে ফিরে যান আঞ্জুমান আরা। পুলিশ জানায়, আঞ্জুমান আরা বেগমের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিহারের বরকাগাও থানায় যোগাযোগ করা হয়। পরিবারের লোকেরা ভেবেছিলেন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আঞ্জুমান বেগমের মেয়ে অসুস্থ থাকায় আর এক আত্মীয় আমির সোহেল সোমবার তাঁকে নিতে বর্ধমানে আসেন। আমির বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম উনি আর বেঁচে নেই। গ্রামে শোরগোল পরে গিয়েছে আঞ্জুমান বেগমের ফেরার খবরে। খুব ভাল লাগছে।’’ আর বছর পঞ্চাশের আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘‘সবই আল্লাতালার দোয়া। বাড়ি ফিরতে পারব ভাবিনি।’’