Marriage Invitation Card

বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে সবুজায়নের বার্তা

গিরিশচন্দ্র রায় তাঁর ভাইপো দেবাশিস রায়ের বিয়ের আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে লাল কাগজের মোড়কে আমন্ত্রিতদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন সোনাঝুরি গাছের বীজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২২ ০৮:১৫
Share:

বিয়ের কার্ড। নিজস্ব চিত্র

বিবাহ অভিযানের অন্যতম প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ‘আমন্ত্রণপত্র’। অতিথিদের নিমন্ত্রণ করতে কাগজে পালকি, ফুল-সহ নানা ধরনের নকশা দিয়ে বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়। পাশাপাশি, লাল কাপড়ে রোল করা আমন্ত্রণপত্রও তৈরি করা হয়। এতে পাত্র-পাত্রীর পরিচয়, বিয়ের সময় ও স্থান-কাল-পাত্র উল্লেখ থাকে। ইদানিং আমন্ত্রণপত্রে পথ-নির্দেশকের জন্য ‘কিউআরকোড’ ব্যবহার করা হচ্ছে কার্ডে। পাশাপাশি, নানা ধরনের উপহার দেওয়ার চল শুরু হয়েছে। যেমনটা করেছেন রানিগঞ্জের নূপুর গ্রামের বাসিন্দা গিরিশচন্দ্র রায়।

Advertisement

গিরিশচন্দ্র রায় তাঁর ভাইপো দেবাশিস রায়ের বিয়ের আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে লাল কাগজের মোড়কে আমন্ত্রিতদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন সোনাঝুরি গাছের বীজ। তিনি জানান, দেবাশিসের বিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর। এই অনুষ্ঠানকে স্মৃতিমধুর করে তুলতে সোনাঝুরি গাছের বীজগুলি উপযুক্ত স্থানে বপন করার আর্জি জানাচ্ছেন। তাঁদের বাসনা, এ ভাবে চারদিক আরও সবুজের সমাহার ঘটুক। তাতে পৃথিবী আরও সুন্দর ও দূষণমুক্ত হবে। তাঁদের আমন্ত্রণপত্রে লেখা আছে, আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় এই ভাবনা তার সুপ্ততা কাটিয়ে সফল মহীরুহে পরিণত হবে। উত্তরসূরি কুর্নিশ জানাবে পূর্বসূরির এই পদক্ষেপ কে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিস একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মরত। বর্তমানে তিনি দুর্গাপুরের এ-জ়োনের দয়ানন্দ রোডের বাসিন্দা। দুর্গাপুরেই আসানসোলের মহিশীলার দীপান্বিতার সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন। বছর ৩১-এর দেবাশিস জানান, ছোট থেকেই তিনি বৃক্ষরোপণ করতে পছন্দ করেন। এতদিনের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ৬০টির বেশি গাছের চারা রোপণ করেছেন। তাঁর জেঠামশাইয়ের লেখা আমন্ত্রণপত্রে সেটি স্থান পাওয়ায় তিনিও খুশি। বলেন, “সোনঝুরি গাছের বীজ সংগ্রহ করেছেন বীরভূমের শান্তিনিকেতন থেকে। বিয়ের পরেই আমন্ত্রণপত্র হারিয়ে যাবে। কিন্তু গাছটি থেকে যাবে। কুড়ি বছর পরেও আমন্ত্রিতদের ঘরে থেকে যাবে আমার বিয়ের স্মৃতি সোনাঝুরি গাছ।”

Advertisement

এ ধরনের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে খুশি নূপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা নূপুর সাহিত্যকথার সম্পাদক মলয়কান্তি মণ্ডল, দুর্গাপুরের দেবব্রত ঘোষ, রানিগঞ্জের গির্জাপাড়ার জীবানন্দ রায়, পানাগড় আমলাজোড়ার উমাপদ সরকার। বিয়ের মাধ্যমে সচেতনতার এই বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন রানিগঞ্জ ব্লক কৃষি আধকারিক অনমিত্র রুজ। তিনি বলেন, “বিশ্ব জুড়ে উষ্ণায়ন চলছে। এই সময় এমন বার্তা, সত্যিই প্রশংসারযোগ্য।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন