প্রতীকী ছবি।
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে যাওয়ার বেশির ভাগ হাওড়ার বদলে বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়াবে বলে রেল ও রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে, ১৫ জুন পর্যন্ত বর্ধমানের উপর দিয়ে ১৯৬টি ট্রেন যাবে। তার মধ্যে অন্তত ১৫০টি ট্রেন বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়াবে বলে জেলা প্রশাসনের দাবি। বুধবার রাত থেকেই ট্রেনগুলি দাঁড়াতে শুরু করেছে। এর ফলে প্রতিদিন আনুমানিক বারোশো থেকে দেড় হাজার যাত্রী বর্ধমান স্টেশনে নামবেন। জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতীর দাবি, “আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’’
সোমবার রাতে আচমকা বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়ায় উত্তরবঙ্গগামী একটি ট্রেন। খড়্গপুর ও ডানকুনিতে দাঁড়ানোর কথা থাকলেও, বর্ধমানে ওই ট্রেন দাঁড়ানোর জন্য নির্ধারিত ছিল না। ট্রেন দাঁড়াতেই দক্ষিণবঙ্গের প্রায় আটশো যাত্রী নেমে পড়েন। তাঁদের বেশির ভাগই দুই ২৪ পরগনার বাসিন্দা। জেলা প্রশাসনের অভিযোগ, প্ল্যাটফর্মের শৌচাগার যাত্রীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি, আচ্ছাদনের নীচেও দাঁড়াতে দেয়নি রেল পুলিশ। ফলে, তাঁরা স্টেশনের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রাতেই আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দেয়।
প্রশাসনের এক কর্তার অভিযোগ, “ওই সব যাত্রীদের ডানকুনিতে নামতে দেয়নি রেল রক্ষী বাহিনী। এ নিয়ে জেলাশাসক বিস্তারিত চিঠি লিখেছেন রেলকে।’’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ধরনের সমস্যা নিয়ে রেলের বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় জেলা প্রশাসনের। স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত নয়, এমন ট্রেনকে কোনও ভাবেই বর্ধমানে দাঁড় করানো যাবে না। দাঁড় করানোর প্রয়োজন হলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে।
জেলা প্রশাসনের আর এক কর্তার দাবি, ‘‘ওই বৈঠকের পরেও, বর্ধমানে কোন ট্রেন থেকে কত জন নামতে পারে, তার কোনও তালিকা দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে বারোশো থেকে দেড় হাজার যাত্রী নামতে পারেন ধরে নিয়ে ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।’’ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কর্মীরা স্টেশনে হাজির থাকছেন। এসবিএসটিসি ও বেসরকারি বাস মিলিয়ে সব সময় ২৫-৩০টি বাসও স্টেশনে থাকছে। এ ছাড়া যাত্রীদের আচ্ছাদন, জলখাবারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষাও স্টেশনে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরটিও রানা বিশ্বাস বলেন, “স্বাস্থ্যবিধান মেনেই যাত্রীদের বাসে করে সংশ্লিষ্ট জেলায় নামানো হবে। পুরো দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরাই বর্ধমান স্টেশনে নামবেন বলে ধরে রেখেছি। প্রাথমিক ভাবে একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বাস বাড়ানো হবে।’’