মেলা শুরু হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের স্টলগুলিতে এমনই ছবি দেখা গেল দিনভর।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফল মানুষকে জানাতে শহরে চলছে মেলা। অথচ, সেই ‘মোদী মেলা’ সম্পর্কে দুর্গাপুরে তেমন কোনও প্রচারই করা হয়নি বলে শহরবাসীর দাবি। এমনকী শুক্রবার মেলার উদ্বোধনের পরেই দেখা যায়, স্টলগুলি প্রায় ফাঁকা। মেলা চত্বরেও লোক জনের সংখ্যা হাতে গোনা। বৃহস্পতিবার ডিএসপি টাউনশিপের রাজীব গাঁধী ময়দানে তিন দিনের মেলার আয়োজনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়া এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। যদিও তৃণমূল বা স্থানীয় প্রশাসন, কেউই তা স্বীকার করেনি। শেষমেশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের তত্ত্বাবধানে মেলা আয়োজনের বাকি কাজ শেষ হয়। শুক্রবার মেলা উদ্বোধনের নির্ধারিত সময়ের আগেই শ’দেড়েক বিজেপি কর্মী-সমর্থক মেলা চত্বরে ভিড় জমান। অনুষ্ঠান শেষে হওয়া মাত্র সেই শ’দেড়েক বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরাও চলে যান বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
মোদী-মেলায়: উদ্বোধনে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস।
রয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। শুক্রবার দুর্গাপুরের রাজীব গাঁধী ময়দানে।
এ দিনই দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘যে সব রাজ্যে বিজেপি-র সরকার নেই, সেখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সঠিক প্রচারের অভাবে সাধারণ মানুষ প্রকল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’ দিলীপবাবু ‘প্রচারে অভাবে’র প্রসঙ্গ তুললেও শহর জুড়ে বিজেপি-কেও মেলা সম্পর্কে তেমন প্রচার করতে দেখা যায়নি বলে বাসিন্দারা জানান। শহর জুড়ে মেলার প্রচারে ফেস্টুন, ব্যানারও তেমন চোখে পড়েনি। এ দিন উদ্যোক্তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতেও আর্জি জানান। দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদিও দাবি, ‘‘প্রথম দিন যাঁরা এসেছেন তাঁরা ফিরে গিয়ে বাকিদের বলবেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে জমে উঠবে মেলা।’’
ছবি: বিকাশ মশান।