নার্সিংহোমে জটলা। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। শনিবার কাটোয়ার একটি নার্সিংহোমের ঘটনা। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখায় প্রসূতির পরিবার। ঘটনার পরে থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পলাতক বলে পুলিশ জানায়। এর জেরে চিকিৎসা পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে বলে দাবি অন্যান্য রোগীর পরিজনদের।
নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কাটোয়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন ন্যাশনালপাড়ার বাসিন্দা দীপালি মণ্ডল (২৪)। বিকেল চারটে নাগাদ সেখানেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই বধূ। পরিবারের অভিযোগ, তার পরেই দীপালিদেবী বুকে ব্যথা অনুভব করেন। শুরু হয় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও। ওই দিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় ওই বধূর। এই ঘটনার পরেই মৃতার স্বামী খোকন মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘‘সন্ধ্যার পরে থেকেই কর্তব্যরত চিকিৎসকের খোঁজ পাইনি। স্ত্রী-র অবস্থা খারাপ হচ্ছে দেখে উনি যদি বর্ধমানে বা অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করে দিতেন, তা হলে হয়তো ও বেঁচে যেত।’’ শনিবার দুপুরে ওই শিশুকন্যাটিকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর
ব্যবস্থা করে।
এ দিন দুপুরে বধূর দেহ ময়না-তদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসাপাতালে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, ঘটনার পরে থেকেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের খোঁজ মেলেনি। এর জেরে নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীরাও অসুবিধায় পড়েন। চেষ্টা করেও কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।