সৌরভ চিত্রকর।
রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক তরুণের। শনিবার সকালে কাটোয়ার করজগ্রামের ডুগো গ্রামে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সৌরভ চিত্রকরের (২০) দেহ। তাঁর হাতে সূচ ফোটানোর দাগ থাকায় বাড়ির লোকজনের অনুমান, মোবাইলে মারণ গেমের শিকার হয়ে থাকতে পারেন ছেলে। যদিও পুলিশের কাছে এই অভিযোগ জানাননি তাঁরা। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ধারণা মিলবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৌরভের বাবা জয়দেব চিত্রকরের কাটোয়ার পঞ্চাননতলায় থার্মোকলেন জিনিস তৈরির ব্যবসা রয়েছে। বছর দুয়েক আগে পড়াশোনা ছেড়ে বাবাকে ব্যবসার কাজে সাহায্য করা শুরু করেন সৌরভ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে তিনি নিজের ঘরে ঘুমোতে যান। এ দিন সকালে জয়দেববাবু ব্যবসার কাজে কলকাতা রওনা হন। সৌরভের দোকানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ঘর থেকে না বেরনোয় ডাকাডাকি শুরু করেন পরিজনেরা। সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায়, বিছানায় পড়ে রয়েছেন তিনি। বাঁ হাতের নানা জায়গায় সূচ ফোটানোর দাগ ছিল বলে জানান পরিজনেরা।
সৌরভের জামাইবাবু আশিস দাস দাবি করেন, ‘‘ও মোবাইল নিয়ে সময় কাটাত। নানা রকম গেম খেলত বলেও জানি। মৃত্যুর পিছনে তেমন কোনও গেমের হাত থাকতে পারে বলে আমাদের সন্দেহ।’’ জয়দেববাবু বলেন, ‘‘ইদানীং অনেক সময়ে অন্যমনস্ক থাকত ছেলে।’’ সৌরভের ফোনটি পেয়েছেন বাড়ির লোকজন। তবে পুলিশের কাছে মারণ-গেমের ব্যাপারে কোনও অভিযোগ করেননি তাঁরা।
পুলিশ জানায়, কী ভাবে মৃত্যু, তা পরিষ্কার নয়। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসডিপিও (কাটোয়া) সায়ক দাস, ‘‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চলছে। অন্য কোনও অভিযোগ পাইনি। মৃত্যুর কারণ ময়না-তদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।’’ করজগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাতে সন্দেহজনক দাগ, মোবাইলে আসক্তির কারণে বাড়ির লোকজনের ধারণা, কোনও মারণ গেমের শিকার হয়েছে ছেলেটি। এলাকার কমবয়সী ছেলেরা যাতে এই ধরনের কোনও গেমের নেশায় জড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সচেতনতা প্রচার চালানো হবে।’’