—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মৃত ভোটারের নামে ঠাসা ছিল তালিকা। মৃত্যু শংসাপত্রের অভাবে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে পারছিলেন বুথ লেভেল অফিসারেরা (বিএলও)। ‘ভুতড়ে ভোটার’ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের শেষ থাকে না। এ বার ভোটার তালিকা থেকে সে সব নাম বাদ দেওয়া গিয়েছে বলে জেলা নির্বাচনী দফতরের দাবি। গত সপ্তাহে (২২ জানুয়ারি) প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় ৬৭ হাজার ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। ভোটার বেড়েছে ১৮,৪৮৯। পুরুষের তুলনায় মহিলা ভোটার বেশি বেড়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও বেড়েছে।
জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। তেমনই, নতুনদের ভোটার তালিকায় নাম তুলতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।” দফতরের রিপোর্টে, গত সপ্তাহে প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানে মোট ভোটার ৪১,৩৭,৮২৯ জন, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০,৯১,০৬৪ জন এবং মহিলা ভোটার ২০,৪৬,৬৭৮ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৭ জন। জানা গিয়েছে, গত বারের চেয়ে এ বার পুরুষ, মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার বেড়েছে যথাক্রমে ৭,৬১০ জন, ১০,৮৭৩ জন ও ৬ জন।
এ বারের ভোটার তালিকায় পুরুষ-নারী অনুপাতও (লিঙ্গ অনুপাত) বেড়েছে। গ্রীষ্মকালীন (এপ্রিলে প্রকাশিত) ভোটার তালিকায় পূর্ব বর্ধমানে ১০০০ জন পুরুষ প্রতি মহিলা ছিল ৯৭৭ জন। এ বার সেটা হয়েছে ৯৭৯ জন। এ বার লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ভোট দেবেন জেলার ৬৩,৬৮৭ জন। এ ছাড়াও ১৮-১৯ বছরের ভোটার রয়েছে ৯৭,৪৫৮ জন। গত বিধানসভা থেকেই জেলায় ৮০ বছরের ঊর্ধ্বের ভোটারদের আলাদা তালিকা তৈরি রাখতে হচ্ছে নির্বাচন দফতরকে। জেলায় তেমন ভোটার ৫৪,৩১০ জন।
নতুন ভোটার তালিকায় নাম বাদ গিয়েছে ৬৬,৮১৯ জনের। নির্বাচন দফতরের দাবি, মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। মৃতের শংসাপত্র না পাওয়ায় বিএলও-রা তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে পারছিলেন না। এ বার নির্বাচন দফতর ঠিক করে, মৃত ভোটার রয়েছেন, এমন খবর পেলেই সংশ্লিষ্ট বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে। সেই খবর ঠিক হলে স্থানীয় যে কোনও ভোটারের কাছ থেকে লিখিত সম্মতি জোগাড় করে তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্বাচন দফতর অপেক্ষা করেনি। সে কারণেই জেলার প্রতিটি বিধানসভা থেকে বিপুল পরিমাণে ভুতুড়ে ভোটারের নাম বাদ দেওয়া গিয়েছে।