হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস দাঁড়াবে আসানসোল স্টেশনে, জানালেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল তাঁকে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানান তিনি। তাঁর দাবি, কিছু দিনের মধ্যেই শিল্পাঞ্চলবাসী এই সুবিধা পাবেন। তবে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশন সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, রেলবোর্ডের তরফে এখনও এই খবর জানানো হয়নি।
অনেক দিন ধরেই হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আসানসোল স্টেশনে দাঁড় করানোর দাবি তুলছিলেন শিল্পাঞ্চলবাসী। সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছিলেন আসানসোল, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুরের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জোটবদ্ধ ভাবে একাধিক বার ডিআরএম থেকে রেলমন্ত্রী— নানা স্তরে এই দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। ২০১৪ সালে বাবুল আসানসোলে সাংসদ হওয়ার পরে তাঁর কাছেও এই দাবি জানিয়েছিল শিল্পাঞ্চলের একাধিক বণিক সংগঠন। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে চলার খবরে খুশি সংগঠনের কর্তারা।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল বলেন, ‘‘আমি শিল্পাঞ্চলবাসীর এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর রেলমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তারই প্রেক্ষিতে তিনি আমাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, হাওড়া নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আসানসোল স্টপেজ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে রেল মন্ত্রক।’’
ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যকরি সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান বলেন, ‘‘আমরা অনেক দিন থেকেই এই দাবি জানিয়েছি। মন্ত্রী তা রেখেছেন বলে আমরা কৃতজ্ঞ।’’ তাঁর আরও দাবি, মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অণ্ডাল থেকে বিমান পরিষেবা চালুর পরে এ বার আসানসোল স্টেশনে রাজধানীর স্টপেজ মেলায় এলাকার অর্থনীতি আরও উন্নত হবে। আসানসোল চেম্বার অব কমার্স-এর উপদেষ্টা সুব্রত দত্তেরও বক্তব্য, ‘‘হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে নয়াদিল্লিগামী দু’টি রাজধানী এক্সপ্রেস আসানসোলে দাঁড়ানোয় শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।’’
তবে এ বিষয়ে এখনও তাঁদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি বলে জানান পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের অতিরিক্ত কমার্শিয়াল ম্যানেজার তথা মুখপাত্র রাহুল রঞ্জন। বাবুল অবশ্য জানান, কিছু দিনের মধ্যেই ডিভিশনের কর্তারা এই নির্দেশ পেয়ে যাবেন।