ঘাট ও শ্মশানের হাল ফেরাতে নয়া প্রকল্প

দাবি ছিলই। মঙ্গলবার কালনা ১ ব্লকের ধাত্রীগ্রামের মালতিপুর এলাকায় একটি স্নানের ঘাট এবং শ্মশান ঘাটের দুটি চুল্লির উদ্বোধন করলেন পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০১:০৯
Share:

কালনার অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।

দাবি ছিলই। মঙ্গলবার কালনা ১ ব্লকের ধাত্রীগ্রামের মালতিপুর এলাকায় একটি স্নানের ঘাট এবং শ্মশান ঘাটের দুটি চুল্লির উদ্বোধন করলেন পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাগীরথী নদীর মালতিপুর ঘাটে মহালয়ের সকালে তর্পণ, কালীপুজো, শ্রাবণ মাসে ভক্তদের স্নানে হাজার মানুষের ভিড় জমত। ঘাটের পরিকাঠামো নিয়ে বরাবরই ক্ষোভ ছিল। এর সঙ্গেই ঘাট লাগোয়া শ্মশানেও চুল্লি নিয়ে ক্ষোভ ছিল এলাকাবাসীর। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন এলাকার বিধায়ক তথা ক্ষুদ্র ও কুটির, ভূমি এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ঘাট তৈরির জন্য এলাকার সাংসদ সুনীল মণ্ডল এবং শ্মশানঘাট উন্নয়নের জন্য রাজ্যের আর এক সাংসদ নাজিমুল হককে জানান তিনি। প্রকল্পের জন্য সুনীলবাবু ২৫ লক্ষ এবং নজিমুল সাহেব ৫ লক্ষ টাকা নিজেদের তহবিল থেকে বরাদ্দ করেন। এ দিন শ্মশান ঘাটমুখী একটি পাকা রাস্তা তৈরিরও দাবি জানানো হয় মন্ত্রীকে। বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ সুনীলবাবু বলেন, ‘‘কাটোয়া, অগ্রদ্বীপ, দাইহাট এবং কালনা ঘাটে নানা উন্নয়ন মূলক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই ঘাটেও একই রকম ব্যবস্থা করা হবে।’’ স্বপনবাবু বলেন, ‘‘ধাত্রীগ্রামে ভোটার রয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার। বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একটি প্রকল্প রয়েছে। আর একটি হলে ভাল হয়।’’ শ্মশানঘাটের গার্ডওয়াল তৈরি ও সোলার আলোর জন্যও বিধায়ক তহবিল থেকে টাকা বরাদ্দ করার আশ্বাস দেন তিনি।

সুব্রতবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন মন্ত্রীদের গ্রামে ছুটে যেতে। দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘নো কাজ, নো পদ’ বার্তাও দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। শুধু পদ আঁকড়ে থাকলে হবে না।’’ এ দিন ধাত্রীগ্রামে আসার আগে সুব্রতবাবু পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিদ্যানগর স্কুলে যান। সেখানে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরেশ গোস্বামীর একটি আবক্ষ মূর্তি উদ্বোধন করেন। পরে পৈত্রিক ভিটে নাদনঘাটের ন’পাড়া মন্দিরে পুজো দেন মন্ত্রী। গ্রামের রাস্তায় হাঁটার সময় স্বপনবাবুকে একটি রাস্তাকে দেখিয়ে তিনি জানান, এই রাস্তা দিয়ে তাঁর বাবা অশোক মুখোপাধ্যায় শিক্ষকতা করতে যেতেন। স্বপনবাবু জানান, ন’পাড়া গ্রামের ওই রাস্তাটি পাকা করা হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন