প্রতীকী ছবি।
নতুন জেলা গঠনের পরে তিন মাস পার। কিন্তু জেলা প্রশাসন এখনও নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে উঠতে পারেনি। জেলার যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যান, সরকারি নির্দেশ, বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ বা টেন্ডার— সবই বাসিন্দাদের পাওয়ার কথা ওয়েবসাইটে। কিন্তু তা না পেয়ে সমস্যায় পড়ছেন অনেকে। জনসংযোগের সুযোগ হারাচ্ছে জেলা প্রশাসনও।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন জেলার বিভিন্ন দফতর কর্মীর অভাবে ধুঁকছে। এখনও সব দফতর কাজ শুরু করেনি। তার উপরে জেলার ওয়েবসাইটও তৈরি না হওয়ায় সহজে কোনও তথ্য পাওয়ার উপায় নেই পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দাদের। রাজ্য সরকার সব দফতরে ‘ই-গভর্ন্যান্স’ চালুতে উদ্যোগী হয়েছে। সে জন্য বিশেষ ভাবে জরুরি এক ক্লিকেই অনেক তথ্যের ব্যবস্থা। কিন্তু গত ৭ এপ্রিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হওয়ার পরে এখনও সেই সুযোগ তৈরি হয়নি।
বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, সেখানকার প্রশাসনিক আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের ফোন নম্বর, সরকারি বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত, কোন দফতরে কত নিয়োগ, ই-টেন্ডার, উন্নয়নমূলক প্রকল্প— এই সব আপলোড করা হয়। তাছাড়া, জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে যাবতীয় ছবি ও তথ্য, যাতায়াতের রুট, থাকার বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নানা তথ্যও রাখা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এখনও নতুন জেলার নিজের ওয়েবসাইট তৈরি না হওয়ায় পূর্বতন বর্ধমান জেলার ওয়েবসাইটই ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানেই ই-টেন্ডার-সহ নানা কাজের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। নতুন জেলার বিভিন্ন বালিঘাটের নিলাম থেকে কাঁকসার বনকাটির ডাঙালে গ্রামীণ পাঠাগার নির্মাণ বা রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির রাস্তা, কমিউনিটি হল তৈরির টেন্ডার— ভরসা সেই পূর্ব বর্ধমানের ওয়েবসাইট।
দুর্গাপুরের বেনাচিতির বাসিন্দা নির্মলা বসু, শুভদীপ রায়েরা বলেন, ‘‘নতুন জেলার ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য পেতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য মিললে নিশ্চয়তা থাকে। তাছাড়া কোথায় নতুন কী কাজ হচ্ছে, তা-ও জানা যায় ওয়েবসাইট থেকে।’’ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জেলার ওয়েবসাইট দ্রুত গড়ে উঠলে এক দিকে যেমন কাজে আরও স্বচ্ছতা আসবে, তেমনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও কমবে।’’
ওয়েবসাইট কবে হবে? পশ্চিম বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘জেলার ওয়েবসাইট তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে।’’ মাসখানেকের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে, আশায় প্রশাসনের কর্তারা।