ইচ্ছেমতো। নিজস্ব চিত্র
ঝকঝকে রাস্তায় দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে বাস, ট্রাক, ছোট নানা গাড়ি। তারই মাঝে আচমকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে বাস। তার জেরে পিছনে থাকা গাড়ি পড়ছে বিপাকে। মাঝে-মাঝে ঘটছে দুর্ঘটনাও। বাস দাঁড়ানোর নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায় পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে।
দক্ষিণবঙ্গ-উত্তরবঙ্গের যোগের অন্যতম ভরসা এই রাস্তা। রাজ্য সড়কটির ২৩ কিলোমিটার অংশ রয়েছে বর্ধমান জেলায়। সারা দিন প্রচুর সরকারি-বেসরকারি বাস, ট্রাক, গাড়ি যাতায়াত করে এই রাস্তায়। অনেক বাস বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ জেলায় যায় এই রাস্তা ধরে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত এই রাস্তাটি খুব দুর্ঘটনাপ্রবণ। প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এত বাস চললেও নির্দিষ্ট স্টপ নেই। অনেক সময়েই বাসের পিছনে গাড়ির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটছে।
বাসিন্দারা জানান, দিন কয়েক আগে কাঁকসার দোমড়ায় বর্ধমানগামী একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে। পিছনের পাথর বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার পিছনে ধাক্কা মারে। জনা দশেক যাত্রী জখম হন।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই রাস্তায় দার্জিলিং মোড় থেকে ইলামবাজার সেতুর আগে পর্যন্ত প্রায় ২০টি জায়গা থেকে যাত্রীরা ওঠেন। ডাকবাংলা, ২ নম্বর কলোনি, দোমড়া, পিয়ারিগঞ্জ, বেলডাঙা, বিলপাড়া, ডাঙালের মতো নানা গ্রামে বাস দাঁড়ায় যেখানে-সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস রায়, স্বদেশ সাহারা বলেন, ‘‘অনেক স্টপে রাস্তা চওড়া থাকলেও, তাড়াহুড়োয় অনেক বাসই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে-নামায়।’’
রাস্তার উপরে ইচ্ছে মতো দাঁড়িয়ে পড়ার কারণ জানতে চাইলে একটি বাসের চালক বলেন, ‘‘আমাদের বাস দাঁড় করানোর কোনও নির্দিষ্ট জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা যেমন হাত দেখান, সেখানেই দাঁড়াতে হয়।’’ মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘রাস্তাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এই বিষয়টিও আমাদের নজরে আছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’