সন্ধ্যা নামলেই ঘাট চত্বর ঘুটঘুটে অন্ধকার। ঘাটমুখী রাস্তাতেও যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়শই ঘটে দুর্ঘটনা। কয়েকদিন আগে অন্ধকার শ্মশানঘাটে স্নান করতে নেমে ভাগীরথীতে তলিয়েও যান এক ব্যক্তি। তারপরেও হুঁশ নেই কাটোয়া পুরসভার, এমনই অভিযোগ কাটোয়ার বাসিন্দাদের।
তাঁদের দাবি, ছেঁড়াখালি ঘাটে সারাদিনই বহু লোকের আনাগোনা চলে। জল নিতে বা পুজোসামগ্রী গঙ্গায় ফেলতে রাতের দিকেও অনেকে জলে নামেন। শ্মশান লাগোয়া ঘাট হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে দাহ করতে আসেন অনেকে। অভিযোগ, ঘাটে তিন বাতির একটি বাতিস্তম্ভ থাকলেও মাস দেড়েক ধরে তা বিকল। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় মন্টু মাঝি, বাপ্পা হালদারদের অভিযোগ, বাতিস্তম্ভের আলোগুলো জ্বললে সিঁড়ি দিয়ে গঙ্গায় নামার সময় পড়ে দুর্ঘটনা ঘটার সুযোগ থাকে না। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও কাজ হয়নি। ঘাটে আড্ডা দিতে আসা কলেজ পড়ুয়া কঙ্কন নাথ, শঙ্খ ঘোষেরাো জানায়, সন্ধ্যা নামলেই ঘাটে অসামাজিক কাজকর্ম শুরু হয়। অন্ধকারে ঘাটে বেশিক্ষণ বসে থাকা দায় হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও জানান, আলো না থাকায় ঘাটসংলগ্ন এবড়োখেবড়ো রাস্তায় চলাচলের সময় পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। বুধবার শবদাহ করতে এসে ভাগীরথীতে স্নান করার সময় জলের গভীরতা ঠাহর করতে না পেরে তলিয়ে যান ভাতারের বসিন্দা সৌরেন সাঁই। রাতে অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মীরা এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেও খোঁজ পাননি। বৃহস্পতিবার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরিরা বারবার চেষ্টা করেও কিছু খোঁজ পাননি। নিখোঁজের আত্মীয়ের আক্ষেপ, আলো থাকলে হয়তো আন্দাজে নামতে গিয়ে এমটা হতো না।
পুরপ্রধান অমর রামের সাফাই, ‘‘বাতিগুলো খরাপ হয়ে গেলে মাঝেমাঝে সারনো হয়। তবে এই দুর্ঘটনার পরে নতুন করে কোনও অভিযোগ পাইনি।’’