পরিদর্শক নেই, দায়িত্বে শিক্ষাকর্মী

দিন কয়েক আগেই কালনায় স্কুল পরিদর্শকদের একটি সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়, রাজ্যে ২১২৭টি পদের অর্ধেকে কোনও নিয়োগ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের বিভিন্ন কাজ করতে দেরি হচ্ছে বা আদপে হচ্ছেই না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share:

দিন কয়েক আগেই কালনায় স্কুল পরিদর্শকদের একটি সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়, রাজ্যে ২১২৭টি পদের অর্ধেকে কোনও নিয়োগ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের বিভিন্ন কাজ করতে দেরি হচ্ছে বা আদপে হচ্ছেই না। এই অভিযোগের পরে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ, মঙ্গলকোটের তিনটি চক্রের দু’টিতেই স্থায়ী পরিদর্শক না থাকায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষাকর্মীদের দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে।

Advertisement

স্কুল পরিদর্শকের দফতর সূত্রে জানা গেল, মঙ্গলকোটের কৈচর ও নতুনহাট চক্র দু’টিতে কাজকর্ম নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। প্রায় এক দশক ধরে কৈচরে ভারপ্রাপ্ত এসআই দিয়ে ৫৫টি প্রাথমিক, ৫টি উচ্চ মাধ্যমিক, ৬টা মাধ্যমিক, একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের কাজ চলছে।

কৈচরে অস্থায়ী পরিদর্শকের দায়িত্বে রয়েছেন সৌমেন মণ্ডল। তিনি কামনাড়া চক্রের দায়িত্ব সামলে সপ্তাহে দু’দিন কৈচরে আসেন। অন্য দিকে নতুনহাটের দায়িত্বে রয়েছেন মঙ্গলকোটের কাশেমনগরের এসআই শ্যামল ঘোষ। এর ফলে সব দিক সামলানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে শিক্ষকদের দাবি।

Advertisement

মঙ্গলকোটের তিনটি চক্রে দু’শোরও বেশি শিক্ষক রয়েছেন। উপায় না থাকায় শিক্ষকদের পেনশন, পিএফ, বেতনের কাগজপত্র তৈরির মতো গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছেন শিক্ষাবন্ধু, স্পেশ্যাল এডুকেটর ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। কৈচর চক্রের শিক্ষাবন্ধু অমলকৃষ্ণ বৈরাগ্য, সুনীতা দে, ডালিমকুমার হাজরাদের ক্ষোভ, ‘‘স্কুলে থালা, জুতো দেওয়ার কাজ সামলাচ্ছি। তার সঙ্গে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ কাজও রয়েছে। কত দিক সামলাবো।’’

সমস্যার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার আশ্বাস দিয়েছেন এআই গোপালচন্দ্র পাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন