জীর্ণ বাড়ি চিহ্নিত, তবু নেই ব্যবস্থা

জীর্ণ বাড়ি ভেঙে একাধিক বার বিপত্তি ঘটেছে আসানসোল, কুলটির নানা এলাকায়। সোমবারই রানিগঞ্জে প্রায় সাত দশকের পুরনো একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে গিয়ে এক জন জখম হয়েছিলেন।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৪৬
Share:

নড়বড়ে: আসানসোল পুরসভা এলাকায় এমন হাল বেশ কিছু বাড়ির। নিজস্ব চিত্র

জীর্ণ বাড়ি ভেঙে একাধিক বার বিপত্তি ঘটেছে আসানসোল, কুলটির নানা এলাকায়। সোমবারই রানিগঞ্জে প্রায় সাত দশকের পুরনো একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে গিয়ে এক জন জখম হয়েছিলেন। এর পরে আসানসোল পুর এলাকার পুরনো বাড়িগুলির ভবিষ্যৎ কী, ফের তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

আসানসোল পুরসভা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এ যাবৎ কোনও পদক্ষেপ করেননি পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও পুরসভার দাবি, বিপজ্জনক বাড়ির মালিকদের বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল পুরসভা এলাকায় শতাধিক বছরের পুরনো বাড়িও রয়েছে। সেগুলির অধিকাংশের কোথাও গা বেয়ে উঠেছে গাছ, কোথাও বা দেখা গিয়েছে বড়সড় ফাটল। অথচ, এই ধরনের বহু বাড়িতেই অত্যন্ত কম ভাড়ায় বছরের পর বছর থাকেন ভাড়াটেরা। তেমনই এক জন বরাকর স্টেশন রোডের বাসিন্দা প্রমোদ সাউয়ের অভিযোগ, ‘‘বাড়ির মালিককে অনেক বার সংস্কারের জন্য বলেছি। কিন্তু তিনি কিছুই করেননি। পুরসভাও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুরনো বাড়ির মালিকেরা দাবি করেছেন, ‘‘মাস গেলে ভাড়া মেলে মাত্র ২০ বা ৪০ টাকা। এই টাকায় সংস্কার হবে কী ভাবে!’’

Advertisement

পুরসভার মুখ্য বাস্তুকার সুকোমল মণ্ডল যদিও জানান, কুলটিতে ৪৬টি, রানিগঞ্জে ২৩টি, আসানসোলে ১৫টি এবং জামুড়িয়ায় দু’টি বাড়ি বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সোমবার রানিগঞ্জের সিআর রোডের যে বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে, পুরসভার দেওয়া বিজ্ঞপ্তির তালিকায় সেটিও রয়েছে।

যদিও শহরবাসীর একাংশের প্রশ্ন, এর আগেও বহু বার বাড়ি সংস্কার করতে বা ভেঙে ফেলতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কেন? এক বাড়ি মালিকের পাল্টা যুক্তি, ‘‘ভাড়াটেরা না উঠলে কী করব?’’ সমস্যার কথা মেনে নিয়ে সুকোমলবাবুও বলেন, ‘‘কখনও ভাড়াটেদের সঙ্গে, কখনও বা শরিকি বিবাদ রয়েছে বলে বিষয়টিই এড়িয়ে যাচ্ছেন বাড়ি-মালিকেরা।’’

তবে এই বাড়িগুলি থেকে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন রানিগঞ্জের বিধায়ক রুনু দত্ত ও জামুড়িয়ার সিপিএম নেতা তাপস কবি। মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি আশ্বাস, ‘‘যাঁদের বহু বার বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েও কাজ হয়নি, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তবে তা উভয়ের স্বার্থ দেখেই করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement