জমছে জঞ্জাল, গাড়ি পড়েই

জঞ্জাল জমে থাকা শহরের একটি বড় সমস্যা। বর্ষায় সেই সমস্যা আরও জটিল হয়। আবর্জনায় জল জমে ছড়ায় দূষণ। অথচ, জায়গা ও প্রক্রিয়াকরণের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় আবর্জনা তোলার একাধিক আধুনিক গাড়ি এসেও পড়ে রয়েছে দুর্গাপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৬ ০১:০৯
Share:

সাফাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল আধুনিক এই গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

জঞ্জাল জমে থাকা শহরের একটি বড় সমস্যা। বর্ষায় সেই সমস্যা আরও জটিল হয়। আবর্জনায় জল জমে ছড়ায় দূষণ। অথচ, জায়গা ও প্রক্রিয়াকরণের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় আবর্জনা তোলার একাধিক আধুনিক গাড়ি এসেও পড়ে রয়েছে দুর্গাপুরে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে জেএনএনইউআরএম প্রকল্প ও একটি বেসরকারি সংস্থার লগ্নিতে শঙ্করপুরে আধুনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়া হযেছিল। শহরের যাবতীয় বর্জ্য সেখানে প্রক্রিয়াকরণ করে সার, বিশেষ ধরনের ইট তৈরির ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু যে পরিমাণ বর্জ্য পেলে কেন্দ্রটি চালু রাখা সম্ভব, তা মিলত না বলে অভিযোগ। ঠিকা শ্রমিকদের অনিয়মিত বেতন, কয়েক লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া-সহ নানা সমস্যার মধ্যে বছর দুয়েক পরেই কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট কোনও জায়গা হয়নি। নানা সময়ে নানা জায়গায় আবর্জনা ফেলা হয়।

বেনাচিতি, সিটি সেন্টার, বিধাননগর-সহ শহরের নানা জায়গাতেই আবর্জনা জমে থাকতে দেখা যায়। দিন কয়েক জমা হওয়ার পরে তা নিয়ে যায় পুরসভার গাড়ি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষায় আগাছা বাড়ছে। সেখানেও অনেকে আবর্জনা ফেলছেন। বৃষ্টিতে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আবর্জনা সরানোর কয়েকটি আধুনিক হাইড্রলিক গাড়ি এসেছে। কিন্তু বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু না থাকায় গাড়িগুলিও কাজে লাগানো যাচ্ছে না। সেগুলি পড়ে রয়েছে ভগৎ সিংহ স্টেডিয়াম চত্বরে। এডিডিএ নতুন প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়তে পুরসভাকে জমি দিয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ার পদ্ধতিগত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সেটি চালু করে যাবে, জানাতে পারছে না পুরসভা। ফলে, নতুন গাড়িগুলি কবে কাজে আসবে, তা-ও অনিশ্চিত।

Advertisement

পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আবর্জনার সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। শহর পরিষ্কার রাখার জন্য আধুনিক গাড়িগুলি আনা হয়েছে। আরও গাড়ি আনা হবে। এক বার বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করা গেলেই সমস্যা মিটে যাবে। আমরা যত দ্রুত সেটি চালু করার চেষ্টা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন