পাঁচিল নেই, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অভিভাবকেরা

মাথার উপরে ত্রিপল। তার নীচে চলছে মিড-ডে মিলের রান্না। স্কুলের মাঠে নেই সামীনা পাঁচিল। খেলতে খেলতে খুদের দল মাঝেসাঝে রাস্তাতেও চলে আসে। এমনই পরিস্থিতি মঙ্গলকোটের কোগ্রাম প্রাথমিক স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

মাথার উপরে ত্রিপল। তার নীচে চলছে মিড-ডে মিলের রান্না। স্কুলের মাঠে নেই সামীনা পাঁচিল। খেলতে খেলতে খুদের দল মাঝেসাঝে রাস্তাতেও চলে আসে। এমনই পরিস্থিতি মঙ্গলকোটের কোগ্রাম প্রাথমিক স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি।

Advertisement

লাখুরিয়া পঞ্চায়েতের কোগ্রামের ডোমপাড়ায় মোরাম রাস্তার পাশেই কাঠা দুয়েক জায়গার উপরে দোতলা স্কুলটি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিনয় চট্টোপাধ্যায় জানান, স্কুলের বয়স প্রায় সত্তর বছর। কিন্তু এ যাবৎ সীমানা পাঁচিল তৈরি করা যায়নি। সম্প্রতি মাঠে খেলতে খলতে রাস্তায় চলে আসে দু’জন দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। শিক্ষকেরা জানান, অল্পের জন্য সেদিন দুর্ঘটনা থেকে বাঁচে দু’জনে। এই পরিস্থিতিতে টিফিনের সময়ে কার্যত মাঠ-পাহার দেন স্কুলের শিক্ষকেরা।

এখানেই শেষ নয়, মিড-ডে মিলের ছাদটি আগে অ্যাসবেস্টসের ছিল। বছর তিনেক আগে ঝড়ে উড়ে যায় তা। তার পরে থেকে ত্রিপল টাঙিয়ে অবস্থার সামাল দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষক সুব্রত ভৌমিক বলেন, ‘‘অনেক সময়েই ঝুল, ধুলো তো মিশে যায় রান্নায়। বর্ষাকালে মাঝেসাঝে ঘরে জলও ঢুকে গিয়ে রান্না বন্ধ করতে হয়।’’ গৌতম ধাড়া, রতন ধাড়াদের মতো অভিভাবকেদের আশঙ্কা, ‘‘স্কুলে পাঠিয়ে খুব চিন্তা হয়।’’

Advertisement

স্কুলে বর্তামানে ৩৩ জন পড়ুয়া রয়েছে। বিনয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘সীমানা পাঁচিল, রান্নাঘর তৈরির জন্য বেশ কয়েকবার বিডিও-র কাছে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কাজ কিছু হয়নি।’’ যদিও বিডিও সায়ন দাশগুপ্তের দাবি, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।’’ মঙ্গলকোট পশ্চিম চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামল ঘোষ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনার আশ্বাস দেন।

কবি স্মরণ। মানকরের একটি স্কুলে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে স্মরণ করা হল বর্ধমান বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কবি মিহির চৌধুরী কামিল্যাকে। রবিবার সারা বাংলা রাইটার্স গিল্ডের পরিচালনায় ওই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আনন্দগোপাল গোস্বামী। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলার সম্পাদক কিশোরকুমার ঘোষ, অসিতকুমার মুখোপাধ্যায়, উত্তম কর। গান, নাচ, আবৃত্তি করেন মঞ্জু কর্মকার, অদৃতা ধীবর, সৌমিত্র কোনার, শোভন বিশ্বাস, অনন্যা কর্মকার প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন