Containment Zone

বাঁশের ঘেরাটোপের বাইরে সবই ‘অবাধ’

‘লকডাউন’-এর দ্বিতীয় দিনে জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ১৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০৩:০২
Share:

বাঁ দিকে, বর্ধমান শহরের রামকৃষ্ণ রোডে গণ্ডিবদ্ধ বাড়ির পাশ দিয়ে অবাধে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

চিত্র ১: দোকানপাট খুলেছিল বর্ধমান শহরের রাজগঞ্জ এলাকায়। লোকজন জমজমাট। আড্ডাও চলছিল। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গিয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। জেলার ৩১টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকার মধ্যে পড়ছে রাজগঞ্জ। সেখানকার বাসিন্দা স্মৃতিকণা ভূমিজ, রাজু দত্তদের কথায়, “করোনা-আক্রান্ত তো সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তাহলে আবার কন্টেনমেন্ট জ়োন করার কী দরকার!”

Advertisement

চিত্র ২: কাটোয়া শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাপাড়াও ‘গণ্ডিবদ্ধ’। ফের সম্পূর্ণ ‘লকডাউন’ জারি হওয়ার পরেও সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। আবার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশও বিশেষ সক্রিয় নয়।

চিত্র ৩: গোলাহাটের গণ্ডিবদ্ধ এলাকা (ক্যাটিগরি এ ) যেখান থেকে শুরু হচ্ছে সেই দোকানটাই খোলা! আশেপাশেরও দোকানেও একই ছবি। করোনা-আক্রান্তের বাড়ি বাঁশ দিয়ে ঘেরা থাকলেও তাঁদের একফালি জায়গাতেই দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, “গণ্ডিবদ্ধ এলাকার মধ্যে শুধু ‘ক্যাটাগরি এ’ নয়, ‘বাফার জ়োন’ নিয়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ, সে সব কেউ মানছে না। পুলিশেরও দেখা নেই।’’

Advertisement

‘লকডাউন’-এর দ্বিতীয় দিনে জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ১৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১। এ রকমই মিশ্র ছবি উঠে এসেছে সেখান থেকে। যদিও প্রশাসনের দাবি, নিয়ম মেনেই চলছেন এলাকাবাসী। এ দিন বর্ধমান শহরের বিভিন্ন গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ঘুরে দেখেন ডিএসপি (‌হেড কোয়ার্টার) শৌভিক পাত্র ও বর্ধমান থানার পুলিশ কর্তারা। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হচ্ছে। যে সব জায়গায় মানুষ সচেতন হননি, সেখানে প্রচার চালানো হয়েছে। গণ্ডিবদ্ধ এলাকার ভিতরে থাকা বেশ কিছু দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’

বর্ধমান শহরের রামকৃষ্ণ রোডের একটি এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই রাস্তা দিয়ে মানুষজন অবাধে যাতায়াত করছেন। চায়ের দোকানে রীতিমতো আড্ডা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, “যে ভাবে লকডাউন চলছে, আদতে তা কতটা কার্যকর হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে।’’

এরই মধ্যে শুক্রবার বর্ধমান শহরে দু’জন ও শহর লাগোয়া এক জন করোনা-রোগীর সন্ধান পেয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, শহরের বেড় মোড় এলাকা ও বড়নীলপুর বাজারে যে দু’জনের দেহে করোনা-ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে, তাঁরা পেশায় ব্যবসায়ী। ব্যবসার সূত্রে তাঁদের মাঝেমধ্যেই কলকাতার বড়বাজার এলাকায় যেতে হয়। শহর লাগোয়া রায়ান এলাকায় এক বধূও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ওই বধূ বিহারে বাপের বাড়িতে ‘লকডাউন’-এর সময়্ গিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে ফিরে আসেন। তার পরে করোনা-পরীক্ষা করা হলে জানা যায় তিনি আক্রান্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন